
বিশ্ব হার্ট দিবস আজ
সাদাকালো নিউজ

২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস। এ বছর হার্ট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ইউজ হার্ট ফর এভরি হার্ট’। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হৃদরোগকে বলা হয় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বা এম আই। এই রোগের কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলেন, হার্ট সচল রাখতে শরীরের মতো হৃদযন্ত্রেরও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। আর করোনারি ধমনীগুলো হৃদযন্ত্রে ওই অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে।
হৃদরোগ এবং এই রোগের বিষয়ে সতর্ক করে ডা. আপম সোহরাবুজ্জামান বলেন, কোনোভাবে তামাক বা তামাক জাতীয় কিছু সেবন করা যাবে না। ফাস্ট ফুডের কালচার থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। রেড মিট কম করে খেতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, প্রতিদিন নিয়ম করে ৩৫-৪০ মিনিট গায়ের ঘাম ঝরিয়ে হাঁটতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বুকের ব্যথাকে গুরুত্ব না দিয়ে ‘গ্যাসের ব্যথা’ মনে করে নিজের বুদ্ধিতে গ্যাসের টেবলেট খাওয়া যাবে না। যেকোনো ধরনের বুকের ব্যথা হলেই আশেপাশের যে কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে গিয়ে দ্রুততম সময়ে একটা ইসিজি করাতে হবে। তারপর সেই ইসিজিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে।
আমাদের জীবনযাত্রায় ফ্যাটযুক্ত খাবার, অনিয়মিত জীবনযাপনসহ নানাবিধ কারণে করোনারি ধমনীর ভেতরের দেয়ালে ধীরে ধীরে ফ্যাট জমে। ফলে শরীরের ভেতরের এসব ধমনীতে অক্সিজেন সরবরাহের পাশাপাশি ফুসফুসে রক্তের সরবরাহও বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার ফলে কার্ডিয়াক ইস্কেমিয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। বেশ কিছু সময় পর্যন্ত রোগী তার ভেতরের এই অবস্থা বুঝতে না পারলে বা বুঝেও চিকিৎসা নিতে দেরি হলে হৃদযন্ত্রের কোষগুলোর একে একে মরে যায়। আর এতেই একজন মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় প্রমাণিত, পৃথিবীব্যাপী সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে। এর অন্যতম প্রধান কারণ তামাক বলে মনে করেন গবেষকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বিশ্বে ১৯ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আমাদের দেশে প্রতি বছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যান। যাদের মধ্যে ২৪ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় তামাকজনিত কারণে।