বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ
সাদাকালো নিউজ
রেকর্ডসংখ্যক ১১ কোটি মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ বুধবার (১৪ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধ, আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী পালিয়ে আসা এবং সুদানের গৃহযুদ্ধ শরণার্থীর মোট সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে, যারা বিদেশে আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
আর যারা নিজ দেশের ভেতরে বাস্তুচ্যুত, তাদের সংখ্যাও নজিরবিহীন।
ইউএনএইচসিআর তার গ্লোবাল ট্রেন্ডস ইন ফোর্সড ডিসপ্লেসমেন্ট নামক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, গত বছরের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ৮৪ লাখ লোক বাস্তচ্যুত হয়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ১ কোটি ৯১ লাখ বেশি।
এরপর সুদানে সংঘাত শুরুর কারণে নতুন করে বাস্তচ্যুতি ঘটায় মে মাস নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ কোটিতে।
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, ‘সংঘাত, নিপীড়ন, দ্বন্দ্ব ও বৈষম্যের কারণে বিশ্বের ১১ কোটি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এটি আমাদের বিশ্ব পরিস্থিতির একটি নিন্দনীয় অবস্থা।‘
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বে ২০২২ সালে ৩ কোটি ৫৩ লাখ লোক নিজ দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়েছে। এ ছাড়া ৬ কোটি ২৫ লাখ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ফিলিপ্পো গ্রান্ডি আশঙ্কা করে বলেন, ‘সংঘাত অব্যাহত থাকলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
তিনি বলেন, ‘দেশগুলোকে উন্মুক্ত রাখতে হবে, যাতে লোকেরা নিরাপদবোধ করার জন্য আশ্রয় চাইতে পারে।’
গ্র্যান্ডি বলেন, ‘এ বছর শরণার্থী সংস্থাটির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। সুদানের জন্য মাত্র ১৬ শতাংশ তহবিল রয়েছে। কিন্তু সুদানে লড়াই আরও কিছু দিন চলতে পারে।’
সংস্থাটির কর্মকর্তারা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এপ্রিলে দলগুলোর মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৪ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ সুদান ছেড়ে পালিয়েছে।
সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয়দাতা দেশগুলো হলো তুরস্ক (৩৬ লাখ), ইরান (৩৪ লাখ), কলম্বিয়া (২৫ লাখ), জার্মানি (২১ লাখ) এবং পাকিস্তান (১৭ লাখ)।