বিলাপ থামছেই না শাকিলের মা-বাবার
সাদাকালো নিউজ
সীতাকুণ্ডের ঘটনায় গিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ফায়ার ফাইটার শাকিল তরফদার। এমন খবরে শাকিলের গ্রামের বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুখদারায় চলছে শোকের মাতম। সীতাকুণ্ডের ঘটনার পর থেকেই উৎকণ্ঠায় ছিলো শাকিলের পরিবার।
ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত শাকিলের এক চাচার মাধ্যমে রোববার (৫ জুন) বিকেলে তাঁর শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারে পরিবার। এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। ছেলের শোকে কাতর মা জেসমিন বেগম ও বাবা সাত্তার তরফদার। তিন ভাইয়ের মধ্যে শাকিল সবার ছোট।
মেঝো ভাই আসাদুজ্জামান তরফদার বটিয়াঘাটায় ফায়ার সার্ভিসে আউটসোর্সিংয়ের সহকারী বাবুর্চি হিসেবে চাকরি করেন। তিনি বলেন, আমিও ফায়ার সার্ভিসে চাকরি করি। কোরবানির ঈদের পর শাকিলের বিয়ের কথা চলছিল। কিন্তু সেটি আর হলো না।
শাকিলের বাবা সাত্তার তরফদার বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে কুমিরা যাওয়ার সময় শাকিল বলে, বাবা আপনাদের রেখে আমি কীভাবে থাকব। তখন বলি, আমার দোয়া সব সময় তোমার সঙ্গে থাকবে বাবা। কিন্তু কীভাবে কী হয়ে গেল।
২০১৮ সালের জুনে খুলনার কমার্স কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থান ফায়ার সার্ভিসে চাকরি পান সাকিল। প্রথমে তিনি বটিয়াঘাটা ফায়ার স্টেশনে, পরে মোংলা ইপিজেডে ফায়ার স্টেশনে বদলি হন। সেখান থেকে ছয় মাস আগে তাকে চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে পাঠানো হয়।