বিভিন্ন সংস্থার কাছে তিতাসের পাওনা ১৬৫৭ কোটি টাকা
সাদাকালো নিউজ
দুই বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন গ্রাহকের গ্যাস বিল বাবদ মোট ৬ হাজার ৭০১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছে বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
সোমবার (১০ জুলাই) তিতাস ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির এমডি হারুন অর রশিদ মোল্লাহ।
তিতাসের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা জানান, সরকারি পর্যায়ে বকেয়া রয়েছে ১৬৫৭ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা। আর বেসরকারি বকেয়া রয়েছে ৫০৪৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত এসব বকেয়া রয়েছে।
হারুন অর রশিদ মোল্লাহ জানান, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে গত জুন পর্যন্ত ৩৩০টি মোবাইল কোর্টসহ ২৮ হাজার ৩৯৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৬৬৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার অবৈধ লাইন, অবৈধ সংযোগ ও বকেয়ার কারণে ৬ লাখ ২ হাজার ৮৮৪টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ মোট ৬ লাখ ৩ হাজার ৯৭৫ টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। Titas এছাড়াও অবৈধ ব্যবহারের কারণে ২৫০টি শিল্প, ৩২৯টি বাণিজ্যিক, ৫৫টি ক্যাপটিভ, ১০টি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এসব অভিযানের মাধ্যমে ৩২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল এবং ৯১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
তিতাসের এমডি বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ২ হাজার ৩৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। ১ হাজার ৫২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এখন বকেয়ার পরিমাণ কমে ১ হাজার ৬৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। আর বেসরকারি খাতে ৩১ হাজার ১৫৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। এখন ৫ হাজার ৪৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা রয়েছে। সবমিলিয়ে এখন গড় বকেয়ার পরিমাণ ২ দশমিক ৩১ এ নেমে এসেছে। অতীতে এই বকেয়ার পরিমাণ অনেক বেশি ছিল।
অবৈধ সংযোগের বিষয়ে আমরা অনেক অভিযান পরিচালনা করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা জনসংযোগ করেছি, বলেছি চুরি ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাদের বলেছি, লাইন কেটে দেওয়ার পর আবারও লাইন বসলে সেই অঞ্চলের লাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে আমরা অনেক ভালো ফল পেয়েছি।