বিচ্ছেদ ও দুঃসময়ের কথা জানালেন সারা
সাদাকালো নিউজ
তারকার সন্তান। তাই বলিউডে আসার সংগ্রাম সেভাবে করতে হয়নি। ২০১৮ সালে ‘কেদারনাথ’ ছবি দিয়ে দারুণ অভিষেক হয় তার। এরপর ‘সিম্বা’র মতো সফল ছবি। অল্প সময়েই নজরে আসেন দর্শক ও ইন্ডাস্ট্রির। কিন্তু ২০২০ সালেই তার ক্যারিয়ার গ্রাফ নিচের দিকে পড়তে থাকে। একের পর এক ফ্লপের কারণে এখন তিনি আলোচনা থেকেও কিছুটা দূরে।
বলা হচ্ছে সারা আলি খানের কথা। সাইফ আলি খান ও অমৃতা সিংয়ের কন্যা এই সুন্দরী। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি চুপচাপ রয়েছেন। তবে থেমে নেই কাজ। নীরবেই একের পর এক সিনেমায় কাজ করে যাচ্ছেন।
২০২০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লাভ আজ কাল’, ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ ও ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আতরাঙ্গি রে’ তিনটি ছবিই হয়েছে ফ্লপ। সুতরাং সারার সময়টা যে ভালো যাচ্ছে না, তা বলা বাহুল্য।
এই দুঃসময় নিয়েই এবার মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তার ভাষ্য, ‘২০২০ আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে সময়। এটা শুরু হয়েছিল ব্রেকআপ দিয়ে। এরপর ক্রমশ আরও খারাপ হয়েছে। এটা সত্যিই খুব খারাপ বছর ছিল এবং বেশিরভাগ তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে ইন্টারনেটে।’
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ‘লাভ আজ কাল’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সারা আলি খান ও কার্তিক আরিয়ান। যখন তাদের প্রেমের গুঞ্জন জোরালো হয়, তখনি বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর।
এরপর সেই গুঞ্জনের খবরে আগুন জ্বালিয়ে দেন করন জোহর। এক অনুষ্ঠানে সারা-কার্তিকের বিচ্ছেদের খবরটি নিশ্চিত করেন তিনি। পরে প্রেমে ভাঙন ও ছবি ফ্লপের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনবরত ট্রলের শিকার হন সারা।
তবে মানুষের নিন্দা সারা আলি খানকে সেভাবে প্রভাবিত করেনি। কারণ, তিনি ব্যক্তিগত জীবনেই ছিলেন মানসিক অবসাদে। অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আপনি জানেন যে ট্রলিং আপনার প্রাপ্য বা যখন সত্যিই খারাপ সময় আসে, তখন ইন্টারনেটে যা ঘটতে থাকে, তা ব্যক্তিজীবনের তুলনায় কিছুই না। আপনি যখন দুঃখী, ক্লান্ত, ভীত বা নার্ভাস হন, তখন অন্য মানুষ আপনাকে নিয়ে কী বলছে, তাতে কিই বা যায় আসে!’
চলতি বছর বেশ কয়েকটি সিনেমায় দেখা যাবে সারা আলী খানকে। এর মধ্যে নাম ঠিক না করা একটি ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘গ্যাসলাইট’সহ আরও দুই সিনেমা। ২০২৪ সালে ‘মার্ডার মুবারক’ নামের আরও একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি।