বাংলাদেশের মূল চ্যালেঞ্জ মধ্যম আয়ের ফাঁদে না পড়া
সাদাকালো নিউজ
প্রযুক্তি মনস্ক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে না এগুলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন। বাংলাদেশকে যেন শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান বা অন্য অনেক দেশের মতো মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়তে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান সোমবার (৬ মার্চ) এসব কথা বলেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘পলিসি ডায়ালগ অন রোডম্যাপ স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সালমান রহমান বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে স্মার্ট সিটিজেন ছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ব্যাপক কাজ করতে হবে।
‘আমরা যেহেতু গ্র্যাজুয়েশন করেছি, তাই সামনে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব দেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ হয়েছে তাদের অনেকেই যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় মিডল ইনকাম ট্র্যাপে পড়েছে। এটা একটা ভয়ানক ফাঁদ। ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাস্টার প্ল্যান কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দক্ষ কর্মী তৈরি করা। সেখানে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে।
তিনি বলেন, ‘একাডেমি, ইন্ডাস্ট্রি ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে কাজ করতে চাই। হায়ার স্কিল ডেভলপমেন্টের পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুল থেকে কোডিং শেখানো বা কী কী কাজ আমরা করব সেটা নিয়ে সার্বিক আলোচনা করেছি।
‘বেশকিছু কোম্পানি এটা নিয়ে কাজ করছে। সেখানে আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে রোডম্যাপ করা হয়েছে। গ্লোবালি এটা ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে রয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমরা সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে ২ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারব।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলে এসেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অফ থিংকস রোবটিক্স নিয়ে কাজ করতে হবে। সারা বিশ্বে যেসব নতুন প্রযুক্তি আসছে তা ধারণ করতে পারলে কিংবা ব্যবহার করতে পারলে আমরা মিডল ইনক্যাম ট্র্যাপ এড়াতে পারব।’
স্মার্ট ইকোনমি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কী কী বাজেট সাপোর্ট দরকার তা নির্ণয়ে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক, ই-সেবা, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদির মৌলিক সফট অবকাঠামো হয়ে গেছে। এর ভিত্তিতে একটি সার্ভিস ইকো-সিস্টেম দাঁড়িয়ে গেছে। এটি ভার্টিকালি আমরা আরও উপরে উঠাতে পারি। কেননা আমাদের মডেলগুলো সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।