বাংলাদেশি নারী বিয়ে করলেন তামিলনাড়ুর তরুণীকে
সম্প্রতি নিজেই নিজেকে বিয়ে করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন ভারতীয় তরুণী ক্ষমা বিন্দু। এবার ভারতের তামিলনাড়ুর মেয়ে সুবিক্ষা সুব্রাহ্মণীকে বিয়ে করে আলোচনার কেন্দ্রে বাংলাদেশের মেয়ে টিনা দাস। গেল বুধবার চেন্নাইয়ে তামিল রীতিনীতি মেনে ধুমধামের সাথে বিয়ে করেন তারা। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
সুবিক্ষা এবং তার স্ত্রী টিনা, দুজনেই কানাডার ক্যালগরি শহরের বাসিন্দা। নিজের বিয়ে নিয়ে সুবিক্ষা বলেন, ‘এই সবকিছু আমাদের স্বপ্ন ছিল, কিন্তু কোনোদিন ভাবিনি এটা বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব হবে!’ ক্যালগরিতে বসবাসরত তামিল ব্রাহ্মণ মা-বাবার ঘরে জন্ম সুবিক্ষা সুব্রাহ্মণীর। অন্যদিকে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিনা দাসও একটি রক্ষণশীল হিন্দু পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন। ছয় বছর আগে ক্যালগরিতে প্রাইড মান্থ উদযাপনের পরপর তাদের দুজনের পরিচয় হয়।
দীর্ঘদিন লড়াই করে নিজেদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পর শেষ পর্যন্ত পরিবারের স্বজনরা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একিসঙ্গে উৎসাহ দিয়েছেন, আনন্দ করেছেন এবং যার যার প্রথা মেনেই বিয়েটা সম্পন্ন হতে সাহায্য করেছেন।
২৯ বছর বয়সী সুবিক্ষা ডেলোয়েটে একজন চার্টার্ড আকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। নিজেকে উভকামী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন তিনি। উনিশ বছর বয়সে মা-বাবার কাছে প্রথম নিজের অনুভূতির ব্যাপারে সবকিছু খুলে বলেন সুবিক্ষা। এদিকে ৩৫ বছর বয়সী টিনা দাস নিজেকে লেসবিয়ান হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। এর আগে একজন বিষমকামী পুরুষকে বিয়ে করেছিলেন তিনি এবং সেখানে চার বছরের মতো সংসার করেছেন।
ক্যালগরির ফুটহিলস মেডিকেল সেন্টারের পেশেন্ট কেয়ারে কর্মরত আছেন টিনা। তিনি বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠা মৌলভীবাজারে। ২০০৩ সালে মা-বাবার সাথে আমি মন্ট্রিলে আসি। আমার বোন বিয়ের পর এখানে থাকতে শুরু করে। আমরাও ওখানেই থাকতাম। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায় সম্পর্কে আমার মা-বাবার কোনো ধারণাই ছিল না। তারা মনে করতো, আমার কোনো অসুখ হয়েছে। এ কারণে ১৯ বছর বয়সে তাঁবে বিয়ে দেয়া হয়। তারা ভেবেছিল এতে করে সে ঠিক হয়ে যাবো।’
সাদাকালো নিউজ