বগুড়ায় পৃথক হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
সাদাকালো নিউজ
বগুড়ায় পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) বগুড়া আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার বিশু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন দুপুরে রায়গুলো ঘোষণা করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার কাহালুর লক্ষীমণ্ডপ গ্রামে ১৯৯৬ সালের ৮ আগস্ট স্থানীয় পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মজিবর নামের এক কৃষককে মারধরে পর কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। পরে এ ঘটনায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ পরে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন৷ এরমধ্যে মামলা চলাকালে দুজন মারা যান। অন্যদিকে দীর্ঘ ২৬ বছর পর এ মামলায় তসলিম উদ্দিনের (৭০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ সময় ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মামলার ১৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জল আদালত-২ এর বিচারক মুহাম্মাদ কামরুল হাসান রায় ঘোষণা করেন৷ দণ্ডপ্রাপ্ত পাওয়া তসলিম উদ্দিন কাহালুর লক্ষীমণ্ডপের মৃত তোরাব আলীর ছেলে।
এদিকে প্রায় ২৪ বছর আগে বগুড়ার শিবগঞ্জের বিল হামলা এলাকার একটি চাতালে ১৯৯৮ সালের ২৮ অক্টোবর নৈশপ্রহরী আব্দুল জব্বারকে খুন করা হয়। স্থানীয় ওই চাতালে থাকা যন্ত্রপাতি লুটপাট করতে এ ঘটনা সংগঠিত হয়। পরে পুলিশ এ ঘটনায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ ছাড়া প্রায় ২৪ বছর পর ছয়জনের যাবজ্জীবন ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আফজাল হোসেন তার ভাই জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল আলম, গোলজার রহমান, আছমা বেগম ও আলম ফকির। এরমধ্যে আছমা বেগম ও আলম ফকির পলাতক আছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার বিশু জানান, বুধবার দুপুরে পৃথক দুই মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।