ফিলিপাইনে শক্তিশালী টাইফুনের আঘাতে নিহত ৬
সাদাকালো নিউজ
ফিলিপাইনে টাইফুন (ঘূর্ণিঝড়) ডকসুরির আঘাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমি ধসে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে।
তাইওয়ানের আবহাওয়া ব্যুরো টাইফুন ডকসুরিকে দ্বিতীয় মাত্রার শক্তিশালী টাইফুন হিসেবে সতর্কতা জারি করে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে টাইফুনটি তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছেছে। সেখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯১ কিলোমিটার।
বুধবার উত্তর ফিলিপাইনের উপকূলে ডকসুরির আঘাত হানায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি ভূমি ধসের খবরও পাওয়া গেছে।
বেঙ্গুয়েট প্রদেশের বুগুইয়াস শহরে ভূমি ধসে একটি বাড়ি চাপা পড়ে এক নারী, তার সন্তান ও অন্য দুই শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে।
পর্যটন শহর বাগুইওতে ভারী বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে যাওয়ার সময় একজন ১৭ বছর বয়সি কিশোর মারা যায় বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দেশটির উত্তরাঞ্চলের ইসাবেলা প্রদেশে সাইকেলে রুটি বিক্রি করা এক নারী একটি নারকেল গাছের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যায়।
এদিকে তাইওয়ানে বৃহস্পতিবার আবহাওয়া ব্যুরো দ্বীপের দক্ষিণ অংশের জন্য বাতাস ও বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। স্বশাসিত দ্বীপের প্রধান বন্দর শহর কাওশিউংসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তাইওয়ান দ্বীপে সকল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ ও পূর্ব তাইওয়ানের মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ করেছে।
সতর্কতা হিসেবে এরই মধ্যে ৪ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে তাইপে কর্তৃপক্ষ। এর বেশিরভাগই তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা ও পূর্ব তাইওয়ানের বাসিন্দা।
কিছু এলাকায় প্রায় শূন্য দশমিক ৭ মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও এক মিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তাইওয়ানের আবহাওয়া ব্যুরো।
এরই মধ্যে ঝড়ের প্রভাবে তাইওয়ানজুড়ে ১৫ হাজার ৭০০টিরও বেশি পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় সচল করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।
কাওশিউং শহরের মেয়র চেন চি-মাই বুধবার রাতে একটি ফেসবুক পোস্টে জানান, টাইফুন ডকসুরিকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। প্রয়োজন হলে পুলিশ ও সামরিক বাহিনী সহায়তা করবে।