ফিলিপসের কাছে ২ রানে হেরে বিপদে শ্রীলঙ্কা
সাদাকালো নিউজ
পাথুম নিশাঙ্কা নিশ্চিতভাবেই বেশ বাজেভাবে আক্ষেপে পুড়ছেন। কেনই বা গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচ মিস করেছেন তিনি। সেই এক ক্যাচ মিসের দরুণ ফিলিপস শতক পেয়েছেন। নিউজিল্যান্ড পেয়েছে সিডনির মাঠে লড়াই করার জন্য ১৬৭ রানের বেশ বড়সড় পুঁজি।
এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১০২ রানে। অবশ্য একা গ্লেন ফিলিপসই করেছেন শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি, ১০৪ রান। শেষ পর্যন্ত ফিলিপসের কাছে ‘২’ এবং কিউইদের বিপক্ষে ৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। বড় ব্যবধানে হারার ফলে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচ শেষে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের ভবিষ্যৎ কঠিন করে ফেলেছে দাসুন শানাকার দল।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে বেশিরভাগ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরাই ছিলেন ব্যর্থ। যেখানে একমাত্র উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ছিলেন ফিলিপস। দলের ১৬৭ রানের মধ্যে ‘১০৪’-ই এসেছে এই কিউই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। ৬৪ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছয়ে ১০৪ রান করেন ফিলিপস। অবশ্য ভাগ্যও কিছুটা সহায় ছিল এই ব্যাটসম্যানের। ব্যক্তিগত ১২ রানের মাথায় ফিলিপসের খুব সহজ ক্যাচ ছেড়েছিলেন নিশাঙ্কা।
কিউইদের পক্ষে এদিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে ড্যারিল মিচেলের ব্যাট থেকে। সেটিও ২২ রানের বেশি নয়। শেষদিকে মিচেল স্যান্টনার ৫ বলে করেন অপরাজিত ১১ রান। লঙ্কানদের পক্ষে পাঁচ বোলার উইকেট শিকার করেন। যেখানে কেবল কাসুন রাজিথা ডাবল উইকেট তুলে নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টিম সাউদি এবং ট্রেন্ট বোল্টের বোলিং তোপে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। যেখানে বোল্ট প্রথম স্পেলের তিন ওভারে তুলে নেন ৩ উইকেট। অন্যটি আসে সাউদির হাত ধরে। লঙ্কানদের টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানের কেউই ডাবল ডিজিটে যেতে পারেননি। এরমধ্যে দুইজন শূন্য এবং বাকি দুইজন ফেরেন ৪ রান করে।
পাঁচে নেমে ভানুকা রাজাপাকসে লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। ২২ বলে ৩৪ রান করে রাজাপাকসে ফিরলে দ্রুত কিছু উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এক পর্যায়ে ৬৫ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি।
সেখান থেকে অধিনায়ক শানাকার ব্যাটে ভর করে ১০২ রান তোলে লঙ্কানরা। শানাকা ৩৫ রানে ফিরতেই লঙ্কানদের ইনিংসেরও শেষের সুর বেজে ওঠে। কিউইদের পক্ষে বোল্ট ১৩ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন। এছাড়াও মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি ২টি এবং লোকি ফার্গুসন ও সাউদি ১টি করে উইকেট শিকার করে নেন।