ফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ শেখ জামাল
সাদাকালো নিউজ
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে বৃষ্টি আইনে হেরে গেছে ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেড। একই দিন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ উড়িয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। তাতে জমে উঠেছে চলমান ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিডিসিএল)। সুপার লিগে আবাহনী-শেখ জামাল একটি করে ম্যাচ হেরেছে, তাই শেষ ম্যাচে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে নির্ধারিত হবে শিরোপা।
আসছে ১৩মে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে আবাহনী-শেখ জামাল। প্রথম রাউন্ডে একমাত্র দেখায় জয়ের হাসি হেসেছে শেখ জামাল। সুপার লিগেও যদি জিতে তাহলে ট্রফি যাবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের শো-কেসে। আর আবাহনী যদি জেতে তাহলে যাবে আবাহনীর ঘরে। অর্থ্যাৎ যেই দল জিতবে ট্রফি যাবে তাদের কাছেই।
১৫ ম্যাচ শেষে দুই দলের পয়েন্ট সমান ২৬ করে। শেষ ম্যাচ যে দল জিতবে তার পয়েন্ট হবে ২৮। হেড টু হেডে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে শেখ জামাল। রানরেট বিবেচনা করলে এগিয়ে আবাহনী। ১৫ ম্যাচ পর আবাহনীর রান রেট ১.২৬১ আর শেখ জামালের ০.৮০৭।
আবাহনীর হারের দিন শেখ জামালের জয় মূলত ট্রফির রেসে দুই দলকে এক বিন্দুতে নিয়ে এসেছে। বুধবার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ফতুল্লায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এক সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে শেখ জামাল। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৫০।
মাত্র ৮১ বলে ১০৮ রান করে ম্যাচ সেরা হন সৈকত আলী। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি চার ও ৫টি ছয়ে। ফিফটি করেন নুরুল হাসান সোহান (৬২) জিয়াউর রহমান (৬৪) ও পারভেজ রসুল (৫১)। জিয়া ও পারভেজ অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। রূপগঞ্জের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন চিরাগ জানি ও জাওয়াদ রোয়েন।
রান তাড়া করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি রূপগঞ্জ। ওপেনিংয়ে নামেন খোদ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাত্র ৩ রানে ফেরেন তিনি। ইরফান শুক্কুর অপরাজিত সেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়লেও দল হেরেছে বড় ব্যবধানে। সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। আর শুক্কুর নিজেও খেলতে পারেননি চাহিদা অনুযায়ী। তার শতক আসে ১১১ বলে। এ ছাড়া ৬৩ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শেখ জামাল।