প্রেমের টানে পেরু থেকে নোয়াখালীতে তরুণী!
সাদাকালো নিউজ
প্রেম মানে না বাঁধা, প্রেম মানে না সীমানা। জাতি-ধর্ম, শত্রু-মিত্র কিছুই মানে না প্রেম। প্রেমে পড়লে মানুষ দুঃসাহসী হয়ে ওঠে, উপেক্ষা করতে পারে সব বাধা। চিরায়ত এই সত্যগুলো আরও একবার প্রমাণ করলেন পেরু ও বাংলাদেশের এক প্রেমিক জুটি।
কে জানতো ল্যাটিন আমেরিকার দেশ পেরুর কন্যা মন দেবেন নোয়াখালীর এক তরুণকে? সত্যিই হয়েছে তাই। এবার সেই প্রেমের টানে নোয়াখালীতে এসে ঘর বাঁধলেন পেরুর তরুণী আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডো। ভালোবেসে তিনি বিয়ে করেছেন পুলিশ সদস্য আরমান হোসেনকে।
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের নুর আলমের বড় সন্তান আরমান। বাংলাদেশ পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন তিনি। গেল বৃহস্পতিবার নিজের প্রিয়তমাকে চাটখিলে নিয়ে আসেন আরমান।
বর্তমানে প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করায় এই নববধূকে দেখতে আরমানের বাড়িতে ভিড় করছেন আশেপাশের এলাকার মানুষ। ভিনদেশি পুত্রবধূ পেয়ে খুশি আরমানের বাবা-মা থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজনরাও।
জানা যায়, ২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে আরমানের সঙ্গে পরিচয় হয় পেরুর তরুণী কারাঞ্জা সাওসিডোর। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব এরপর ভালোবাসার সম্পর্ক। ৬ বছরের ভালোবাসা সেই সম্পর্ক এবার সম্পূর্ণ হয় বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে।
নোয়াখালীর তরুণ আরমানের টানে পেরু থেকে গত দোশরা জুলাই বাংলাদেশে ছুটে আসেন কারাঞ্জা সাওসিডোর। পরদিন তেশরা জুলাই দুজনে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন ঢাকায় থাকার পর ৬ জুলাই স্ত্রীকে নিয়ে চাটখিলে যান আরমান। বর্তমানে তারা চাটখিলেই বসবাস করছেন।
পুলিশ কনস্টেবল আরমান জানান, কারাঞ্জা সাওসিডোর সাথে তার ফেসবুকে পরিচয় এবং বন্ধুত্ব হয়। টানা ৬ বছর তারা মোবাইলে কথা বলেছেন। কারাঞ্জাকে কখনো সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি আরমানের। একটা সময় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। সে অনুযায়ী কারাঞ্জা বাংলাদেশে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তারপর বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
টুকটাক বাংলা বলতে পারা কারাঞ্জা সাওসিডো সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভালোবাসার সম্পর্ক পবিত্র। এটা তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে তিনি স্বেচ্ছায় আরমানের কাছে ছুটে এসেছেন। নব এই দম্পত্তি যেন সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে সেজন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন আরমানের পরিবার।