প্রভাবশালীদের তালিকা নিয়ে ধোঁয়াশা; ভিডিও ফাঁসের হুমকি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি!
ওবায়দুল শেখ
আলোয় ঝলমলে শোবিজ দুনিয়া। চারিদিকে শুধু ক্যামেরার ক্লিক। ফ্রেমে বন্দী সময়গুলো বড় মেকি। তারচেয়েও বেশি মেকি এই দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ানো মানুষগুলো। ব্যক্তিগত জীবনের ঠিক উলটো ক্যামেরার সামনে। তাইতো, কখনো তারকাদের কোন ব্যক্তিগত বিষয় সামনে আসলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।
পরীমনি বা পিয়াসাদের মতো ঘটনায়, প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যায় গুজব কিংবা কানকথা। মডেলকাণ্ডে কী সেই পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যাচ্ছে দেশ। পুলিশের বক্তব্য এবং গণমাধ্যমের তথ্যের পার্থক্যে মনে হচ্ছে তেমনটাই।
মডেলকাণ্ডের পর, গণমাধ্যমে সংবাদ আসে তালিকা করা হচ্ছে প্রভাবশালীদের। আইনের আওতায় আনা হবে তাদের। থলে থেকে বের হবে কালো বিড়াল।
তবে, ভিন্ন কথা বলছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনি, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মডেল মরিয়ম আক্তার মৌর বাসায় যাতায়াত ছিল এমন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীদের কোনো তালিকা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে থাকা ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একটি গ্রুপ চাঁদাবাজি করছে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, পরীমনি, পিয়াসা ও মরিয়মের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একটি গ্রুপ চাঁদাবাজি করছে বলে তথ্য পওয়া গেছে। তাদের কবল থেকে রক্ষা পেতে দুই-তিনজন ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভুক্তভোগীরা এসব চাঁদাবাজদের বিষয়ে তথ্য দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
তিনি চাঁদাবাজদের কল রেকর্ড করতে ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন। এসব কল রেকর্ড পরে পুলিশের কাছে জমা দিতে বলেন। পাশাপাশি অনুরোধ করেন এই চাঁদাবাজদের বিষয়ে স্থানীয় থানা বা ডিএমপিকে তথ্য জানাতে।
এদিকে, চার দিনের হেফাজত শেষে আদালতে হাজির হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বলেন, ‘তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মিডিয়া কী করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সত্য মিথ্যার বিচার করবে আদালত। কে দোশী কিংবা নির্দোষ তাও জানা যাবে আদালতের রায়ে। তবে এখন পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে, তাতে থলের বিড়াল কী বের হবে; নাকি থলেতে বিড়ালই নেই- সেই প্রশ্নই বড় ভাবে সামনে আসছে।