প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র, জাপান সফরের অর্জন শূন্য: ফখরুল
সাদাকালো নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান সফরে কোনো অর্জন নেই। তার এই সফর শূন্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৩ মে) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এলডিপির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মিথ্যাবাদী, এরা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে। তাই এদের সঙ্গে আলোচনার কোনো যুক্তি নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অতীত আলোচনায় সবাই সেটা অবগত হয়েছে। আর সে কারণেই জনগণ এই সরকারকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের পায়ের নিচে বর্তমানে মাটি নেই। এরা সবকিছু নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মিথ্যাচারকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা বলছে, তাদের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোই অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে-এরচেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে। দেশের মানুষের পাশাপাশি এই সরকার বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফকেও মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের লক্ষ্য একটাই-এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে মানুষের ন্যূনতম অধিকার, কথা বলা, ভোট দেওয়ার অধিকারসহ সব কেড়ে নিয়েছে। তাদের একটাই মাত্র উদ্দেশ্য, আবারও যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসা এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের কোনো মানুষ ঘরে-বাইরে নিরাপদ নয়। সর্বত্রই নিরাপত্তাহীন পরিবেশ বিরাজ করছে। চারদিকে লুটপাট চলছে। অর্থপাচারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে খালি করে দেওয়া হয়েছে। এ থেকে দেশ ও দেশের মানুষের পরিত্রাণের জন্য আমরা গণতান্ত্রিক দলগুলো একজোট হয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা মনে করি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে, আওয়ামী লীগের অধীনে দেশের আপামর জনগণ ভোট দিতে পারে না। বিগত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন তার প্রমাণ।
এ সময় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, সরকার চায় আবার একক নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে। কিন্তু দেশের সব জনগণ চায়, সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন। যে নির্বাচনে সবাই স্বাধীনভাবে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে। যে নির্বাচন একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই সম্ভব বলে আমরা মনে করি। একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি আওয়ামী লীগও করেছিল, সেটা তাদের অস্বীকার করার সুযোগ নেই।