প্রকাশ্যে এলো সেই সোহেলের গোপন অতীত!
রাকিবুল ইসলাম
আগের সংসারের কথা স্বীকার করেছেন ময়মনসিংহের ত্রিশালে শারীরিক প্রতিবন্ধী রওশনকে ভালোবেসে বিয়ে করা সেই সোহেল মিয়া। স্ত্রী ও চার সন্তান ফেলে বাড়ি থেকে চলে আসেন তিনি। একই সঙ্গে তার প্রকৃত নাম মোখলেছুর রহমান বকুল বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর জন্য সবার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন সোহেল। প্রথম বিয়ের কথা স্বীকার করে সোহেল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৯২ সালে প্রথম বিয়ে করি। আগের স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের ছেড়ে আসি। ওদের সঙ্গে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোবাইলে যোগাযোগ ছিল। তবে সম্পর্ক ভালো ছিল না। ফোন করলেই ওরা গালাগালি করতো। পরে ওই বছর স্ট্রোক করার পর থেকে তাদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।
মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেললেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০২০ সালে স্ট্রোক করার পর থেকে আমি অন্যরকম হয়ে গেছি। কিছুই মনে থাকে না। তবে এসব কিছুর জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাসের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসএসসিও পাস করিনি। সাংবাদিকরা আমার বাড়িতে আসার পর পরিচিত একজন লেখাপড়ার বিষয়টি মিথ্যা বলার জন্য শিখিয়ে দিয়েছিল। তাই আমি মিথ্যা কথা বলেছিলাম। তিনি মিথ্যা কথা বলার জন্য আবারও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান।
এদিকে সোহেল মিয়ার বর্তমান স্ত্রী ত্রিশালের রওশন বলেন, স্বামীর প্রথম বিয়ের বিষয়ে আমি জানি। তবে ওই বিয়ে নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার সংসার নিয়ে আমি সুখী। স্বামীর ভালোবাসায় আমি কৃতজ্ঞ। তার প্রথম স্ত্রী যদি আসতে চায় তাহলে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওনার প্রথম স্ত্রী যদি এখানে আসেন, তাহলে দুই বোন মিলে সংসার করবো।