পুলিশের জালে অমিতাভ বচ্চন!
সাদাকালো নিউজ
হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়েছে আশ্চর্য এক খবর। বলিউডের কংবদন্তি সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন। আর এই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন বিগ বি।
১৯ মে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন অমিতাভ বচ্চন। সেই ছবি দেখার পরি গুজব ছড়ায়। কারণ, ছবিতে দেখা গেছে- অমিতাভকে মুম্বাই পুলিশের একটি জিপের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে। তার মাথা ঝুঁকে রয়েছে। এর সঙ্গে অল্প কথায় ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন, ‘গ্রেপ্তার হলাম!’
আর অমিতাভের এই ছবি প্রকাশের পরপরি ছড়িয়ে পরে নেট দুনিয়ায়। তবে বিষয়টি পরবর্তীতে সবাই বোঝেন। আসলে তিনি ধরা পড়েননি। মজার ছলেই ছবিটি পোস্ট করেছেন অভিনেতা। যদিও এমন রসিকতা করে খুব একটা পোস্ট দেন না অমিতাভ। এ কারণেই এতো তোলপাড়।
কিছুদিন আগে বিনা হেলমেটে বাইক সফরের ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার পর সমালোচিত হন অমিতাভ। বিষয়টি নিয়ে মুম্বাই পুলিশের ট্র্যাফিক শাখার পক্ষ থেকে অভিনেতাকে জরিমানাও করা হয়। পরে অমিতাভ তার ব্লগে, সাফাই দিতে গিয়ে জানান, পুরো বিষয়টি তিনি মজার ছলে করেছিলেন। ছবির শুটিং ফ্লোরে নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতে ছবিটি তোলা হয়েছিল। এবারে সেই ‘ঠাট্টা’কে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন অভিনেতা।
এই মুহূর্তে ঋভু দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘সেকশন এইট্টি ফোর’ ছবির শুটিং করছেন অমিতাভ বচ্চন। তার ফাঁকেই ওই ছবিটি তোলা হয়েছিলো। যেটি দেখার পর তার ধরা পড়ার গুঞ্জন ছড়ায়।
এদিকে ছবি পোস্ট করার পর অভিনেতার রসবোধের প্রশংসায় মেতেছেন অনুরাগীদের একাংশ। কারও মতে, অমিতাভ বচ্চনকে দমিয়ে রাখা খুব কঠিন। কেউ আবার ‘ডন’ ছবির জনপ্রিয় সংলাপ ধার করে লিখেছেন, ‘ডন কো পাকাড়না মুশকিল হি নেহি না মুমকিন হ্যাঁ’।
১৯৬৯ সালে মাত্র বিশ বছর বয়সে সিনেজগতে আত্মপ্রকাশ করেন অমিতাভ। সাত হিন্দুস্তানি নামের একটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সাতটি প্রধান চরিত্রের একটিতে তিনি অভিনয় করেন। ১৯৭০-এর প্রথম দিকে তিনি বলিউড সিনেমা জগতে ‘রাগী যুবক’ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এরপর ধীরে ধীরে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।
কর্মজীবনে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বারোটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অজস্র গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন অমিতাভ। ফিল্মফেয়ারের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারের বিভাগে তিনি সর্বাধিক মনোনয়ন পাওয়ার রেকর্ড করেছেন। অভিনয় ছাড়াও তাকে গায়ক, চলচ্চিত্র প্রযোজক, টেলিভিশন সঞ্চালক হিসেবেও দেখা গেছে।