পুতিনকে ‘ছোটলোক’ বলায় রাশিয়ান ব্লগার গ্রেপ্তার
সাদাকালো নিউজ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের কট্টর সমালোচক সামরিক ব্লগার ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইগর গিরকিনকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (২১ জুলাই) মস্কোয় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইগোর গিরকিন একজন সাবেক কেজিবি অফিসার, যিনি রাশিয়াকে ক্রিমিয়া দখলে সহায়তা করেছিলেন এবং পূর্ব ইউক্রেনে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ভূপাতিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার জন্য গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
শুক্রবার তাকে বাড়ি থেকে মস্কোর নিরাপত্তা এজেন্টরা তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টিকে ‘চরমপন্থী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে টেলিগ্রামে পোস্ট করেন তার স্ত্রী।
গিরকিন যিনি নোম দে গেরে ইগর স্ট্রেলকভ নামে বগ্লার হিসেবে পরিচিত। তিনি এবং যুদ্ধের সংবাদদাতাদের একটি গ্রুপ মিলে ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর নড়বড়ে অভিযান নিয়ে সমালোচনা করেন। তবে সম্প্রতি তিনি রুশ রাষ্ট্র এমনকি পুতিনকে নিয়েও সমালোচনা করেন এবং নিন্দা জানান।
তিনি এই বসন্তে অ্যাংরি প্যাট্রিয়টস ক্লাব নামে একটি অতি-জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেসময় তিনি রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়া একটি বিপর্যয়মূলক চরিত্রের মাধ্যমে ভয়ংকর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে।
ওয়াগনার বিদ্রোহের পরের দিন তিনি বলেন, পুতিন যদি রাশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত না হয় তবে তাকে সত্যিই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
কিন্তু পুতিনের জন্য চূড়ান্ত আঘাত আসে যখন মঙ্গলবার টেলিগ্রাম চ্যানেলে গিরকিন পুতিনকে ’ছোটলোক’ এবং ’কাপুরুষ’ বলে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, ‘২৩ বছর ধরে দেশটি একটি ছোটলোকের নেতৃত্বে ছিল। যারা বেশিরভাগ জনগণের ‘চোখের ধুলো ঝাড়তে’ পেরেছিল। কিন্তু এখন দেশটির শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। এই কাপুরুষ আর ৬ বছর ক্ষমতায় থাকলে দেশ টিকতে পারবে না।’
এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় গিরকিনের স্ত্রী মিরোস্লাভা রিগিন্সকায়া। তিনি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, রাশিয়ান এজেন্টরা শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টায় তাদের বাড়িতে আসে এবং গিরকিনকে নিয়ে অজানা এক গন্তব্যে নিয়ে যায়।