পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে সংঘর্ষ-সহিংসতায় নিহত বেড়ে ১৫
সাদাকালো নিউজ
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। রবিবার (৯ জুলাই) রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় নতুন এক সংঘাতে আরও একজন নিহত হন। তা ছাড়া শনিবারের ঘটনায় আহত দুজনও এদিন মৃত্যুবরণ করেন। ফলে নতুন করে তিনজনের প্রাণহানি ঘটায় নিহতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫।
পুলিশ জানায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলী থানা এলাকার পশ্চিম গাবতলায় একটি ভোটকেন্দ্রের কাছ থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম আবদুল সালেম খান। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তার আগে শনিবার রাতে জেলার বাসন্তী এলাকায় সহিংসতায় আহত আজহার লস্কর নামে আরেক ব্যক্তিও রবিবার প্রাণ হারান। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে তার মৃত্যু হয়।
শনিবার ভোট চলাকালে মালদা জেলায়ও মতিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি ছুরিকাঘাতের শিকার হন। মালদার বরকামত এলাকায় কেবিসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
রবিবার নিহত তিনজনই তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) কর্মী বলে জানা গেছে।
সোমবার (১০ জুলাই) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতের মধ্যে টিএমসির কর্মী ১০ জন। বাকিদের মধ্যে বিজেপি, সিপিআই (এম), কংগ্রেস, ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট এবং এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর একজন করে কর্মী রয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করেছেন রাজনৈতিক নেতারা।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন (এসইসি) জানিয়েছে, তারা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের (ডিএম) কাছ থেকে নিহতের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে।
ডিএমকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিহতদের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গে ৭৩ হাজার ৮৮৭টি আসনে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার প্রার্থী ছিলেন ২ লাখের বেশি। ভোট পড়েছে প্রায় ৬৬.২৮ শতাংশ, যা রেকর্ড।
এদিকে রাজ্যের ১৯ জেলার ৬৯৬টি ভোটকেন্দ্রে সোমবার নতুন করে ভোটগ্রহণ চলছে। বিভিন্ন ধরনের সংঘর্ষ ও অভিযোগের কারণে শনিবার এসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়।