পরীমনির বার্ষিক আয় সাড়ে ৯ লাখ, খরচ করেন কোটি কোটি টাকা
ওবায়দুল শেখ
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। সিনেমা মুক্তির আগেই তারকা বনে যান এই অভিনেত্রী! অঢেল টাকা আর অভিজাত জীবন যেন স্বেচ্ছায় ধরা দেয়। কি নেই তার কাছে দামি গাড়ি, কোটি টাকার ফ্ল্যাট, মূল্যবান অলঙ্কার? এছাড়াও রয়েছে কয়েকটি ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা এই চিত্রনায়িকার।
কাগজে-কলমে নায়িকা পরীমনি প্রায় কোটি টাকা দামের টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ির মালিক। ২০২০ সালের ২৪ শে জুন তার সাদা রঙের হ্যারিয়ার গাড়িটি দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায়। এর ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই তিনি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার রয়েল ব্লু-রঙের মাসেরাতি গাড়ি কেনেন বলে জানান। যদিও তা তিনি কেনেননি বলে সাদাকালো নিউজ নিশ্চিত হয়েছে। গাড়িটি শোরুম থেকে একদিনের ট্রায়ালে নিয়ে নিজের দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করেন পরীমনি।
পরীমনি রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানী ১৯/এ সড়কের একটি বাড়ির পাঁচতলার ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। বিলাসবহুল এ ফ্ল্যাটের মূল্য দশ কোটি টাকারও বেশি। ফ্ল্যাট নিজের হলেও এর পেছনে প্রতি মাসেই খরচ হয় প্রচুর পরিমান অর্থ।
প্রায় অর্ধযুগের শোবিজ ক্যারিয়ারে এধরনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও দামি গাড়িতে চড়া মিনেমা জগতের প্রতিষ্ঠিত অনেক অভিনেতার পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে পরীমনির ক্ষেত্রে এমনটা কীভাবে সম্ভব হলো? প্রশ্ন জাগতেই পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে তার বার্ষিক আয় নিয়েও।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনি যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন, সেখানে তিনি ৫০ হাজার টাকার কর পরিশোধ করেন। পরিশোধ করা করের বড় অংশই মূলত গাড়ির কর। তবে আয়কর রিটার্নের কোথাও পরীমনির বনানী ফ্ল্যাটের মালিকানার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরীমনি ২০১৪ সালের নভেম্বরে নিজের নামে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে কর অঞ্চল- ১২ এর আওতায় তিনি প্রথম আয়কর রিটার্ন জমা দেন। প্রথম বছরের রিটার্নে আয় দেখিয়েছিলেন প্রায় ৭ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে আয় দেখান প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা।
প্রশ্ন উঠেছে, তিনি যে কয়টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং যেগুলো মুক্তি পেয়েছে সবগুলোতে তার অভিনয়ের পারিশ্রমিক মিলিয়েও তার গাড়ির মূল্যের সমান হবে না। ফ্ল্যাট কেনা তো অনেক পরের কথা। আর পরীমনিও জানালেন, তার বার্ষিক আয় মাত্র সাড়ে ৯ লাখ টাকা!