নেতাকর্মীদের প্রতি মির্জা ফখরুলের যে আহ্বান
সাদাকালো নিউজ
বুকে সাহস নিয়ে জেল ও মৃত্যুর পরোয়া না করে রাজপথে নামার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নব্বইয়ে’র গণঅভ্যুত্থান ও কিছু কথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার বিরোধীদের ক্ষমতাসীনরা জেলে পাঠাতে নতুন সেল গঠন করেছে। মিথ্যা মামলায় তাকেও শিগগিরই জেলে যেতে হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে গেলেও জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয় অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, দেড় মাসের মধ্যে তাকেও জেলে যেতে হবে।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের প্রতিহিংসার শিকার দাবি করে ফখরুল বলেন, এ সরকার গুণী মানুষকেও সম্মান দিতে চায় না। পুরোপুরি প্রতিহিংসার কারণে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে মামলা দিয়ে হেনস্তা করে জেলে পাঠাতে চায় সরকার। এ সরকার গুণী মানুষকেও সম্মান দিতে চায় না। বিএনপি ড. ইউনূসের ওপর ভর করে নয়, জনগণের সমর্থণে ক্ষমতায় যেতে চায় বলেও জানান ফখরুল।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ফখরুল আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন তা আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন ছিল দেশের জন্য নতুন ধারণা। সেখান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সূচনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতো আওয়ামী লীগেরই। সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না জেনেই তত্ত্বাবধয়াক বাতিল করেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় কেনো সরকারের। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের উপায় নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। একদলীয় শাসনব্যবস্থা আওয়ামী লীগের ইতিহাস। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এটা প্রতিদিনকার দৃশ্য। আদালতের কি অবস্থা তা দেখে আসার জন্য বুদ্ধিজীবী ও সম্পাদকদের একটু নিম্ন আদালতে যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।