নিজেকে শেষ করে দেয়ার প্ররোচনার অভিযোগে সাংবাদিক তুলির দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ
সাদাকালো নিউজ
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করা মেয়েটি ছিলো ভীশন হাসিখুশি। সুযোগ পেলেই বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিতো। সহকর্মীদের সঙ্গে পার্টি করতো। কারো মন খারাপ দেখলে নিজ থেকে এগিয়ে আসতো। আজ সে নেই। চলে গেছে না ফেরার দেশে। পুলিশ বলছে, মানসিক হতাশা থেকে নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছে সে। তবে এ ঘটনার পেছনে কারও প্ররোচনা রয়েছে কিনা-সেটারও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর এই তদন্তের অংশ হিসেবে তুলির দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত সংশ্লিষ্ঠরা।
পুলিশের সূত্র দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁদের নাম জানা জানায়নি পুলিশ। তবে তাঁদেরকে আটক করা হয়নি। তুলির মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, ঘটনার দিন এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে বেশ কয়েকবার কথোপকথন হয়েছিল সাংবাদিক তুলির। সেই বন্ধুর মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই করে দেখা গেছে, তাঁর অবস্থানও রায়েরবাজার এলাকায়। ওই বন্ধু সেদিন তুলির ফ্ল্যাটে গিয়েছিলো কিনা বা তাঁর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কী ধরণের কথোপকথন হয়েছিলো- এমব বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। সাংবাদিক তুলির মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে তুলির দেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তুলির দেহ যশোরের হুশতলা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শায়িত করা হয় তাঁকে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।