নিক্সন চৌধুরী বারবার ভোটে জেতার রহস্য কী?
সাদাকালো নিউজ
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী টানা তৃতীয়বারের মত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন।
১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে তৃতীয়বারের মতো পরাজিত করেছেন নিক্সন চৌধুরী। এর আগেও ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে তিনি কাজী জাফর উল্যাহকে পরাজিত করেন। কাজী জাফর উল্যাহ এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১৪ সালে ফরিদপুরের ভাঙ্গার পাশের মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া মহল্লার বাসিন্দা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে কাজী জাফর উল্যাহকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেন। এরপর ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগ এই দুই নেতার নেতৃত্বে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
স্থানীয়দের মতে এবারে নিক্সন চৌধুরীর প্রচারণার মূলে ছিল এলাকার উন্নয়নের আশ্বাস, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং ফরিদপুর-৪ আসনভুক্ত তিনটি উপজেলাকে বাংলাদেশের মধ্যে সেরা উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি।
নিক্সন চৌধুরী ২০২০ সালে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক চান তবে দল মনোনয়ন দেয় কাজী জাফর উল্যাহকে। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী নিক্সন বলেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক করবেন। যা তিনি সত্যিই করে দেখিয়েছেন।
স্থানীয় মানুষদের ভাষ্য, কাজী জাফর উল্যাহর তরুণদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই অপরদিকে নিক্সনের সাথে সখ্য আছে স্থানীয় তরুণদের এবং তাকে নিজেদের কাছের মানুষ ভাবে তারা।
কাজী জাফর উল্যাহর অনুসারী ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুজ্জামান বলেন, ভাঙ্গার তুলনায় সদরপুর ও চরভদ্রাসনে সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। পাশাপাশি নিক্সনের নির্বাচনী কৌশল তারা ভাঙ্গায় যতটা প্রতিহত করতে পেরেছেন ওই দুটি উপজেলায় তা সম্ভব হয় নি।