নাহিদের সুখের সংসারে আচমকা অন্ধকার!
সাদাকালো নিউজ
কেরানীগঞ্জের ২৩ বছর বয়সী তরুণ নাহিদ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তরুণী ডালিয়া ডলির। একসঙ্গে সুখের সংসার শুরু করেন তাঁরা। ডালিয়া ছিলেন স্বামী অন্তঃপ্রাণ। কয়েকদিন আগেও হাতে মেহেদি দিয়ে লিখেছিলেন ‘আই লাভ ইউ নাহিদ’। সেই লেখা এখনো জ্বলজ্বল করছে। এমনকি মুছেনি মেহেদির রঙও। কিন্তু এরইমধ্যে ডালিয়ার ভালোবাসার সেই মানুষটি আর নেই।
জানা গেছে, প্রেম করে বিয়ে করেন নাহিদ ও ডালিয়া। প্রেমের সম্পর্কটি চিরস্থায়ী করতে মাত্র ৬ মাস আগে বিয়ে করেন তারা। কষ্টের সংসার হলেও, সুখেই দিন কাটছিল তাঁদের। কিন্তু কে জানতো, মাত্র ৬ মাসের মাথায় বিধবা হতে হবে ডালিয়াকে!
দুইদিন আগেও স্বামীর ভালোবাসায় উচ্ছ্বসিত ডালিয়ার, জীবন এখন পুরোই এলোমেলো। ফটোর ফ্রেমে থাকা স্বামীর ছবিই এখন মেয়েটির বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল।
মঙ্গলবার থেকে বারবার স্বামী নাহিদের ছবি দেখে এক টানা কান্না করেই যাচ্ছেন স্ত্রী ডালিয়া। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ডালিয়া বলেন, যে মানুষটাকে একবার না দেখলে থাকতে পারতাম না, কোন কিছু ভালো লাগতো না। তাকে ছাড়া এখন আমি সারাজীবন কেমনে থাকমু? এখন কে আমাকে ভরসা দেবে? ডালিয়া শুধু বলছেন, ‘আমার স্বামী তো কোনো অপরাধ করে নাই। সে তো কেবল কাজে যাচ্ছিলো, তাঁকে কেন শেষ করে দেয়া হলো?
মোবাইল ফোনে স্বামীর ছবি বের করে বারবার দেখছিলেন তিনি। তার সরল জিজ্ঞাসা, ‘আমারে রাইখা ক্যান চইলা গেল, আমি এখন কার কাছে থাকব’।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ডালিয়া আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার কিছুটা অসুস্থ ছিলাম। নাহিদকে কাজে যেতে নিষেধ করেছিলাম। নাহিদ বলে, করোনায় কাজ বন্ধ ছিল অনেকদিন। রোজায় আর কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। বস ফোন দিয়েছে, কাজে যেতে হবে। এই বলে সে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আর কোনো কথা হয়নি।’
সুস্থ সবল একটা মানুষ বাড়ি থেকে বের হলো। এখন দেখি নিথর হয়ে আছে। এসব বলতে বলতে ফের বিলাপ করে অঝোরে কাঁদছিলেন নাহিদের স্ত্রী।