নানামুখী চাপে নায়ক জায়েদ খান!
রাকিবুল ইসলাম
নায়ক হিসেবে খুব বেশি আলোচনায় না থাকলেও, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রায়ই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নেন অভিনেতা জায়েদ খান। বিশেষ করে আগামী ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২০২৪ সালের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে আবারও আলোচনায় তিনি।
এর আগেও শিল্পী সমিতির নির্বাচন করে টানা দুইবার সাধারণ সম্পাদকের পদ জয় করে নেন জায়েদ খান। তবে এবার তিনি নানামুখী চাপের মুখে। সিনেমায় জায়েদ খানের অভিষেক হয়েছিল ২০০৮ সালে। এরপর বহু সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু সেভাবে সাফল্য ধরা দেয়নি। তবে পর্দার বাইরে শিল্পীদের নেতা হয়ে বেশ চর্চায় ছিলেন জায়েদ খান।
একই পদে তিনবার আসীন হওয়ার জন্য এবারও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন জায়েদ খান। সঙ্গী খলনায়ক মিশা সওদাগর সভাপতি প্রার্থী। তাঁদের প্যানেলের বিপরীতে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণের নেতৃত্বে আরেকদল শিল্পী।
এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। এই বিষয়টিই সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে এসেছে জায়েদের জন্য। সবাই ধরে নিয়েছেন এবারের নির্বাচনটা জায়েদ খান প্যানেলের জন্য খুব কষ্টকর হবে।
এদিকে নির্বাচনের ঠিক ১০ দিন আগে আরেক চাপের মুখে পড়েন জায়েদ খান। শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য ও অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে শেষ করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে জায়েদের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রহস্যের জট খুলে দেয়ায় রক্ষা পান জায়েদ। এসময় বিনাদোষে তাঁর বিরুদ্ধে কাঁদা ছোড়ায়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন জায়েদ খান।
এদিকে মিশা ও জায়েদের নেতৃত্বে শিল্পী সমিতি থেকে ১৮৪ জন শিল্পীর সদস্যপদ বাতিল করার অভিযোগ বেশ পুরনো। নির্বাচনকে ঘিরে আবারও রেই বিষয়টি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, সদস্যপদ বাতিল হওয়া শিল্পীদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করছেন জায়েদ খান।
যদিও জায়েদ খানের দাবি তিনি যা করছেন, ঠিক করছেন। এও দাবি করেন যে, বাতিল হওয়া সদস্যের সংখ্যা ১৩০ থেকে ১৩৪ হবে, কোনভাবেই ১৮৪ নয়। আর এই কাজ তাঁর একার নয়, যাদের সদস্যপদ বাতিল হয়েছে, সেটা সাংগঠনিকভাবেই হয়েছে।
ভোটের মাঠে এতো সব সংকট যখন সামলাচ্ছেন জায়েদ খান, তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন এই অভিনেতা। শুক্রবার বিকাল থেকেই জায়েদ খানের ভেরিফায়েড প্রোফাইলটিতে ঢুকতেই দেখা যায় তার অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করা আছে। যেটি সাধারণত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে করে থাকে। এদিকে বিষয়টিকে ‘শয়তানি’বলে আখ্যা দিয়েছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘এটা শয়তানি করে কিছু মানুষ করেছে। যেন নির্বাচনী প্রচারণা আমি না চালাতে পারি।’