‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ব্যান করার দাবি কংগ্রেসের
সাদাকালো নিউজ
আগামী ৫ মে মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। গত বছর থেকে সিনেমাটি ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। জোর করে কেরালার হিন্দি ও খ্রিস্টান মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তকরণ এবং আইসিসে যোগদান করানোর হাড়হিম করা প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই সিনেমাটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এবার সরকারের কাছে এই সিনেমাটি স্ক্রিনিং বন্ধের আর্জি জানাল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এটি একটি ‘প্রোপাগান্ডা’ সিনেমার। এই সিনেমার মাধ্যমে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন নির্মাতারা।
শুধু কংগ্রেসই নয়, ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডিওয়াইএফআই) পর্যন্ত এই সিনেমা মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়েছে। তাদের কথায়, ‘সঙ্ঘ পরিবার সিনেমার মতো জনপ্রিয় মাধ্যমকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে, নির্দিষ্ট একটি রাজ্য এবং একটি বিশেষ ধর্মের মানুষকে অপমান করবার জন্য।’
গত বছর নভেম্বর মাসে সিনেমার টিজার মুক্তি পাওয়ার পর গোটা কেরালা জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। ফের একবার সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ল। বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালে উত্তর কেরালার ২১ জন মেয়ের গায়েব হওয়ার বাস্তব ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র গল্প সাজিয়েছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন।
জানা যায়, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইসিস-এ যোগ দিয়েছিল ওই ২১জন মেয়ে। এই সিনেমার ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং প্রযোজকের ভূমিকায় রয়েছেন বিপুল শাহ।
এই ছবির ট্রেইলারে তথ্যগত ভুলভ্রান্তি রয়েছে দাবি, কেরালার একাধিক রাজনৈতিক দলের। কেরালা কীভাবে সন্ত্রাসবাদীদের ‘সেফ হেভেন’ হয়ে উঠেছে তা উঠে এসেছে এই সিনেমায়। যা ঘিরেই বিতর্ক।
কংগ্রেস নেতা ভি ডি সাথীসান বলেন, ‘এই ছবি জুড়ে রয়েছে মিথ্যাচার। টিজারে দেখানো হয়েছে, কেরালা থেকে ৩২ হাজার নারীকে ধর্মান্তরিত করে নিয়ে তাদের সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএসআইয়ের প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা পুরোপুরিভাবে আমাদের রাজ্য ও একটি ধর্মের মানুষের অপমান, আর এর পেছনে রয়েছে সঙ্ঘীদের হাত।’
রাজ্যে হিংসা ও ঘৃণার বীজ বপন করতে এমনটা করা হচ্ছে বলে দাবি সাথীসানের।
কংগ্রেসের দাবি, শুধু কেরালার ভাবমূর্তি ক্ষু্ণ্ণ করাই নয়, দেশের জাতীয় সংহতি ও ঐক্য বিঘ্নিত হবে এই সিনেমা মুক্তি পেলে।
আগামী ৫ মে হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলেগু এবং মালয়ালাম ভাষায় মুক্তি পাবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।