দেশে নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সহায়তা বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
সাদাকালো নিউজ
নিরাপত্তা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এ আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
গতকাল ৭ জুন ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘গত বছর আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছি এবং চলতি ২০২৩ সালে আমরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও গভীর ও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।’
‘নিরাপত্তা ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই এবং এই ব্যাপারটিকে যুক্তরাষ্ট্র বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। এর আগেও এ ব্যাপারে আপনাদের কয়েকজন সহকর্মী সাংবাদিকদের সঙ্গে এই ইস্যুতে আমি আলোচনা করেছি।’
‘জলবায়ুসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। তবে বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা সহযোগিতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি,’ ব্রিফিংয়ে বলেন বেদান্ত প্যাটেল।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৪ মাস পর, ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। স্বীকৃতির পাশাপাশি সে সময় ৩০০ কোটি ডলার সহায়তাও দিয়েছিল ওয়াশিংটন।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশটির সরকারি দাতাসংস্থা ইউএসএইড শত শত মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৪ মে ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ঘোষণায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে আগ্রহী। যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে বা গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করবে, তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে মার্কিন সরকার।
এই ঘোষণার পর থেকে নতুন করে ফের আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক।