দুপুরে হাজতে বিকেলে মাহির জামিন!
সাদাকালো নিউজ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধরা পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। শনিবার বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন। একি আদালত দুপুরে মাহিকে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে শনিবার সকালে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে মাহিকে ধরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। সেখান থেকে নায়িকাকে জিএমপির হেডকোয়ার্টারে নেয়া হয়। পরে গাজীপুরের আদালতে নেয়া হয়। সেখানে মাহির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামিন শুনানিতে মাহির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আনোয়ার শাহাদাত সরকার, অ্যাডভোকেট রিপন চন্দ্র সরকার এবং অ্যাডভোকেট নবীজুল ইসলাম। তারা জানান, তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুটি মোকদ্দমাতেই জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এখন মুক্তির প্রস্তুতি চলছে।
প্রেগনেন্সি ও সেলিব্রেটি বিবেচনায় আদালত জামিনের আদেশ দেন বলে জানান অ্যাডভোকেট আনোয়ার শাহাদাত সরকার। তিনি বলেন, তিনি বলেন, তার মক্কেল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ কারণে মোকদ্দমা হওয়ার পরও দেশে চলে এসেছেন।
এর আগে আদালত থেকে বের হয়ে মাহিয়া মাহি বলেন, জাজ আমার সঙ্গে কোনো কথা বলে নাই। একটা কথাও বলে নাই। তিনি শুধু চেয়ারে বসেছেন আর উঠেছেন। এক সেকেন্ডের মধ্যে কোর্ট কীভাবে শেষ হয়ে যায়? কোর্ট আমার সঙ্গে কোনো কথা বলে নাই।
এরও আগে ১৭ মার্চ সকালে ফেসবুক লাইভে এসে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে কুৎসা রটান মাহি। তিনি দাবি করেন, তার স্বামী রকিব সরকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুলিশের সহায়তায় দখল করা হচ্ছে। আর এজন্য দেড় কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
অভিনেত্রীর এমন মন্তব্যের পরি পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মোকদ্দমা দায়ের করে। এতে মাহিকে দুই নম্বর আর তার স্বামী রকিব সরকারকে এক নম্বর অভিযুক্ত করা হয়। একিদিন আরেকটি মোকদ্দমা করেন ইসমাইল হোসেন নামে গাজীপুরের একজন ব্যবসায়ী।
রাজশাহীর মেয়ে মাহির সিনেমায় অভিষেক ২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় ‘ভালোবাসার রঙ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। এরপর এক দশকে বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমার নায়িকা হন তিনি। গেল বছরের সেপ্টেম্বরে মাহি জানান, তিনি মা হতে যাচ্ছেন। অনাগত সন্তানের অপেক্ষায় থাকার মধ্যে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।