দুই বছরের শিশুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড!
সাদাকালো নিউজ
দুই বছরের শিশুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার আদালত। বাবা-মায়ের অপরাধের সাজা ভুগতে হচ্ছে তাকে।
এর মাধ্যমে কিম জং উন বার্তা দিয়েছেন যে, অপরাধ করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের কাছে বাইবেল পাওয়া গেলেই কড়া শাস্তি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
যারা বাইবেল নিজেদের কাছে রাখছেন, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা পাচ্ছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা।
তেমনই এক ঘটনায় সাজা দেওয়া হয়েছে দুই বছরের ওই শিশুকে।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই ঘটনা। শিশুটির বাবা এবং মায়ের কাছে বাইবেল ছিল। তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর শিশুটিকে কারাগারে পাঠিয়েছে সরকার।
উত্তর কোরিয়া স্বঘোষিত নাস্তিক দেশ। তবে সংবিধান অনুযায়ী সেখানে কোনো বিশেষ ধর্ম অনুসরণের ক্ষেত্রে বাধা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় গত কয়েক বছরে ৭০ হাজার খ্রিস্টানকে কারাবাসে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডও পেয়েছেন অনেকে।
ওই প্রতিবেদনেই দুই বছরের শিশুকে সাজা দেওয়ার কথা প্রকাশ করা হয়।
২০০৯ সালে বাইবেল রাখা এবং খ্রিস্টান ধর্ম পালনের অপরাধে শিশুটির বাবা-মাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার পর থেকে সরকারের আদেশে রাজনৈতিক কারাগারে জীবন কাটাচ্ছে শিশুটি।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয় যে, জেলে বন্দিদের ওপর অত্যাচার করা হয়। নানা শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হন উত্তর কোরিয়ার বন্দিরা।
২০১০ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া শাসন করছেন কিম জং উন।
একনায়ক কিমের ওপরে আর কেউ কোনো কথাই বলতে পারেন না। কিমের আগেও দেশটিতে একনায়কতন্ত্রই প্রচলিত ছিল।