দুইটি কাউন্টার থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী ও প্রতিবন্ধীরা
মিরাজ হোসাইন
সাদাকালো নিউজ
রেলের এক একটি টিকিট যেন সোনার হরিণ। আর সেই হরিণ ধরতে কারো অপেক্ষা ২৪ ঘণ্টা কারো ৩০ ঘণ্টা। আগাম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিন কমলাপুর রেলস্টেশনে তিল ধরনের ঠাঁই ছিলো না টিকিট প্রত্যাশীদের। বেলা যত বাড়তে থাকে ভিড় তত বাড়ে। অতিরিক্ত ভিড় আর ভ্যাপসা গরমে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও প্রত্যাশীত টিকিট না পেয়ে কেউ হতাশ হয়ে ফিরেছেন। কেউ কেউ আবার আগামীকাল টিকিট পাবেন এই আশায় আবার লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
কমলাপুর রেলস্টেশনে ৯টি কাউন্টার ও শহরতলীতে ৬টি কাউন্টার মিলিয়ে মোট ১৫টি কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হচ্ছে ঈদুল আজহার আগাম টিকেট। তাঁর মধ্যে ১৩টি কাউন্টার থেকে পুরুষদের টিকিট দেয়া হচ্ছে। বাকি মাত্র দুইটি কাউন্টার থেকে নারীদের টিকিট দেয়া হচ্ছে। নারীদের জন্য বরাদ্দ কাউন্টার থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের টিকিটও বিক্রি করা হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী ও প্রতিবন্ধীরা।
জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে টিকেট কাটতে গিয়ে কাউন্টারে কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। টিকেটপ্রত্যাশীদের মধ্যে কেউ এসেছেন বিকেলে কেউ দুপুরে কেউ কেউ আবার টানা দুই দিন ধরে অপেক্ষার পর পেয়েছেন কাঙ্খিত টিকিট।
কমলাপুর রেলস্টেশনে রাত পার করলেও নিরাপত্তার কোনো সংকট ছিল না। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৈদ্যুতিক পাখার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন যাত্রীরা। অনেককে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে দেখা গেছে।