দাম কমছে ছোলার বাড়ছে পেঁয়াজের
সাদাকালো নিউজ
আগামী বুধবার চাঁদ দেখা গেলে পরদিন বৃহস্পতিবার শুরু হবে পবিত্র রমজান। রোজার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। সময়ের অন্যতম প্রয়োজনীয় পণ্য ছোলার দাম ২০ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা কমেছে। তবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার দেখা গেছে এ চিত্র।
ভারত থেকে সড়কপথে বিপুল পরিমাণ ছোলা আমদানি হয়েছে জানিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছোলার দাম কমার পেছনে এটিও একটি কারণ। আসন্ন রমজান ঘিরে ছোলার দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় বেড়ে গেছে দাম। শিগগিরই আমদানি শুরু না হলে রোজায় পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে!
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণ ছোলা, মটর ও ডাল আমদানি করা হয়েছে। বাজারে ছোলার কোনো সংকট হবে না। আড়তগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ছোলা দেখা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ। তেলের আড়তে ক্রেতার ভিড় দেখা গেলেও ছোলার আড়তের সামনে ট্রাকের সংখ্যা ছিল খুবই কম।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ও মেসার্স তৈয়বিয়া ট্রেডার্সের মালিক সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘ছোলার পাশাপাশি মসুর ডালের দামও কমতির দিকে। বৃহস্পতিবার মোটা মসুর ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৮৮ টাকা। ভারতীয় চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৮ টাকা কেজি।’
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে ছোলার দাম কমলেও খুচরায় এর তেমন প্রভাব পড়েনি। নগরের কাজির দেউড়ীর ফয়েজ স্টোরের মালিক মোহাম্মদ ফয়েজ বলেন, ‘আমি আগে ছোলা কিনেছিলাম, যে কারণে ভালো ছোলা বিক্রি করছি ৯০ টাকা কেজিতে। এখন আনলে কম দামে বিক্রি করতে পারব।’
কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজ : ভারত থেকে পেয়াঁজ না আসায় কেজিপ্রতি চার থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা। ভারত থেকে আমদানি না হলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে ধারণা খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের।
খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বৃহস্পতিবার ভারতীয় নাসিক পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা। দুদিন আগেও এটি বিক্রি হয়েছিল ২৮ থেকে ২৯ টাকা। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৯ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের পাইকারি আড়ত খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘সরকার গত বুধবার থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছে। এর প্রভাবে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সেখানে দেশি পেঁয়াজ তেমন নেই। তাই ভারতীয় পেঁয়াজ না এলে রমজানে আরও বাড়বে দাম।