ডেঙ্গুতে মৃত্যুর প্রধান কারণ সম্পর্কে যা বললেন জনস্বাস্থ্যবিদরা
সাদাকালো নিউজ
সারাদেশে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা। ডেঙ্গু রোগীর ভিড়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের। এটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
এ অবস্থায় ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কিত কিছু জরুরি তথ্য দিয়েছেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী কনসালট্যান্ট ডা. তাসনোভা মাহিন। যা সবার জেনে রাখা প্রয়োজন।
১. ডেঙ্গু জ্বরে একেবারে শুরু থেকেই চিকিৎসা নেয়া জরুরি। চিকিৎসায় বিলম্ব হলে জীবন সংশয়ের কারণ হতে পারে ডেঙ্গু জ্বর। ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর প্রধান কারণ হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে দেরি করে আসা। তাই এই মৌসুমে জ্বর হলে দেরি না করে প্রথম বা দ্বিতীয় দিনই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা আরও বেশি জরুরি।
২. অনেকের ধারণা ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা জ্বরের তিন দিন পার না হওয়া পর্যন্ত করা যায় না। কথাটা সত্য না। ডেঙ্গুর পরীক্ষা জ্বর আসার প্রথম দিন থেকেই করা যায় এবং ডেঙ্গু হয়েছে কি না, প্রথম দিনই শনাক্ত করা যায়।
৩. ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত তিন থেকে ছয় দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। জ্বর ভালো হয়ে যাওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টাকে বলা হয় সংকটকাল। কারণ, ডেঙ্গু রোগজনিত বিভিন্ন জটিলতা এ সময়ে হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই জ্বর সেরে গেলে নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
যেসব লক্ষণ থাকলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে
প্রচণ্ড পেটব্যথা, বমি।
শ্বাসকষ্ট অথবা পেট ফুলে যাওয়া।
আঘাত ছাড়াই অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ।
জ্ঞানের মাত্রা কমে যাওয়া বা অস্বাভাবিক আচরণ করা।
অত্যধিক দুর্বলতা।
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া।
এই লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে চলে যেতে হবে অথবা জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
সতর্ক হোন
এখন ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ যেহেতু বেশি, এর প্রতিরোধের জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১. বাসায় গাছপালা থাকলে পরিষ্কার রাখতে হবে।
২. পানি জমে থাকতে দেয়া যাবে না।
৩. শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং গর্ভবতী নারীদের দিনের বেলাতেও সতর্ক থাকতে হবে। তারা দিনের বেলায় মসকুইটো রিপেলেন্ট ক্রিম বা ইলেকট্রিক মসকুইটো রিপেলেন্ট কয়েল ব্যবহার করতে পারেন।