ডাব চুরির অভিযোগে শিশুকে দু’হাত পিছনে বেঁধে নির্যাতন
সাদাকালো নিউজ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ডাব চুরির অভিযোগে ইয়ামিন শেখ নামে দশ বছরের শিশুকে দু’হাত পিছনে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাত বাঁধা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে সমালোচনার ঝড়।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শ্যামবাজারে ওই ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিশু ইয়ামিন কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের তোতা শেখের ছেলে। সে ধানকোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
নির্যাতনের শিকার শিশুর মা পক্ষাগ্রস্ত রোগী সেলিনা বেগম জানান, ইয়ামিন সকালে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়। দুপুরে টিফিনের সময় ইয়ামিনকে শ্যামবাজার গ্রামের হেমায়েত শেখের ছোট ভাই ইউসুফ শেখ ধানকোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে গেঞ্জির কলার ধরে টেনে ভ্যানে তুলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ডাব চুরির অভিযোগ তুলে হেমায়েত শেখ ইয়ামিনের দু’হাত রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে।
পরে তাকে বাজারে এনে চান্দিনার সঙ্গে দু’হাত বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে হেমায়েত শেখ লোকের মাধ্যমে ইয়ামিনের বাবার কাছে খবর পাঠায় তার ছেলেকে বাজারে বেঁধে রাখা হয়েছে। ছাড়িয়ে না আনলে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। তিনি তার ছেলের নির্যাতনের সঠিক বিচার দাবি করেন।
রাতইল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম ডাব চুরির অভিযোগ হাত বেঁধে রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘শিশু ইয়ামিনকে হেমায়েত শেখের জিম্মা থেকে আমি উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দিয়ে আসি।’
আরও পড়ুন: ঘুষের টাকা গুনে হাসিমুখে পকেটে রাখার ভিডিও ভাইরাল
এ বিষয়ে হেমায়েত শেখ বলেন, ‘আমার গাছের দুটি ডাব চুরি করায় আমার ভাই ইউসুফ শেখ ওকে ধরে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। আমি ওর অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য এবং শিক্ষা দেয়ার জন্য মাছ বাজারে এনে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে রেখেছিলাম। পরে রবিউল মেম্বার এসে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে।’
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, ‘এ ধরণের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’