কেন টিকটিকির তেলের দিকে ঝুঁকছেন পাকিস্তানের পুরুষরা?
সাদাকালো নিউজ
পাকিস্তানের পুরুষরা যৌন শক্তি বর্ধনে এখন ভিন্ন এক চিকিৎসার দিকে ছুঁটছেন। দেশটিতে ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ হওয়ার পর এখন এই চিকিৎসা অনেকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে হাতুড়ে ডাক্তাররা।
সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিউবিউনের খবরে বলা হয়েছে, ভায়গ্রা নিষিদ্ধ হওয়ায় এবার টিকিটিকির দিকে ঝুঁকছেন পুরুষরা। হাতুড়ে ডাক্তাররা দাবি করছেন, টিকটিকি প্রজাতির প্রাণির চর্বি থেকে তৈরি তেল ব্যবহার করলেই যৌনশক্তি বাড়বে। হাতুড়ে ডাক্তারদের সেই কথায় বিশ্বাস করে এখন তাদের কাছেই ছুটছেন অনেকেই।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে এই তেলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। শহরের রাজা বাজারে টিকটিকির তেল খুঁজতে ছুটছেন পুরুষরা। রাজা বাজারের এক বিক্রেতা ইয়াসির আলি বলেন, ‘এই তেল পাঁচ ফোটা ব্যবহার করলেই কাজ দেবে।’
স্বল্প দৈর্ঘ্যের, মোটা এই সরীসৃপগুলোকে রাজস্থানে ‘সান্ডা’ বলা হয়। পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশেও এই সরীসৃপ মেলে। ফলে ‘সান্ডা’ চোরাশিকার এবং পাচার বাড়ছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ইসলামাবাদের এক চোরাশিকারি জানিয়েছেন, মাছ ধরার বড়শি দিয়ে এই টিকটিকি ধরা হয়। এরপর সেটির লেজ ছিঁড়ে ফেলা হয়, যাতে পালাতে না পারে। কারণ এই সরীসৃপ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে। তার কথায়, ‘এই সরীসৃপগুলোকে মারতে কষ্টও হয়। কিন্তু পেটের টানে এ সব করতেই হয়।’