ঝিনুকের আদলে দেশের প্রথম আইকনিক রেল স্টেশন
সাদাকালো নিউজ
কক্সবাজারে ঝিনুকের আদলে তৈরি হচ্ছে, দেশের প্রথম আইকনিক রেল স্টেশন। যেখানে থাকবে লকার সুবিধা। এতে হোটেল ভাড়া না করে একদিনেই ভ্রমণ শেষ করে ফিরতে পারবেন পর্যটকরা। প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৬ শতাংশ।
সড়কপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। সময় ও অর্থ বিবেচনায় এতটা পথ পেরিয়ে সৈকতের শহরে যাওয়া অনেকের কাছেই ভোগান্তির। তবে এ বিড়ম্বনা শেষ হওয়ার পথে।
সমুদ্র সৈকত থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার শহরের ঝিলংজায় ঝিনুকের আদলে তৈরি হচ্ছে এক লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট আয়তনের দেশের প্রথম আইকনিক রেল স্টেশন। এখানে থাকছে লকার সুবিধা, এর ফলে হোটেল ভাড়া না করেই ভ্রমণ শেষ করে ফিরতে পারবেন পর্যটকরা।
একজন পর্যটক বলেন, বাসে আসতে যে সময়টা লাগবে ট্রেনে হয়ত আরো কম সময় লাগবে। এটা একটা প্লাস পয়েন্ট। অনেকের কাছে ট্রেনের জার্নি একটা নতুন অভিজ্ঞতা। আরেকজন বলেন, আমাদের এলাকার লোকজনের কর্মসংস্থান বাড়বে। সেই সঙ্গে সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি পাবে।
পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৬ শতাংশ। যাতে প্রথম ধাপে প্রস্তুত দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ। শুরুতে ঢাকা থেকে চলবে প্রায় ৫ জোড়া ট্রেন, গতি হবে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, সারাবিশ্বের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে এটা কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যে অভূতপূর্ব রোল প্লে করবে। বৈদেশি বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করতে অনেক আকৃষ্ট হবে এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এখানে প্রচুর পরিমাণে আসবে।
তবে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই রেললাইনের তিন কিলোমিটার অংশ। যদিও তা দ্রুত মেরামত করে অক্টোবরেই উদ্বোধনের আশা প্রকল্প পরিচালকের।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ক্ষয়ক্ষতির ব্যপ্তি বেশি হলেও গভীরতা বেশি না। যদি এমন হতো যে পুরো রেল লাইন ভেঙে (অনেক জায়গায় আমরা দেখি যে পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে ভেসে চলে গেল) ওরকম কিন্তু হয়নি। আমরা যেটা আশা করছি যে, সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ করে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে আমরা এটা চালু করার জন্য।
ঘুমধুম পর্যন্ত এই রেললাইনের পুরো কাজ শেষ হলে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরের সাথে সংযুক্ত হবে বাংলাদেশ।