জ্বালানি তেলের বকেয়া পরিশোধের চাপ
সাদাকালো নিউজ
ডলার সংকটের কারণে আমদানি করা জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে এক তৃতীয়াংশ কমে দেশের ডলারের রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। যা গেলো সাত বছরে সর্বনিম্ন। এতে আশঙ্কাজনক ভাবে কমেছে জ্বালানি মজুদ। বেশ কয়েকটি জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে, অন্তত ৩০ কোটি মার্কিন ডলার দেনা জমেছে। এতে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানি।
জ্বালানি দেয়া বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় সরকারের কাছে ভারতের বকেয়া অর্থ ডলারের পরিবর্তে রুপিতে দেয়ার অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন।
সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর দিয়ে প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে-এই অবস্থাটি দেশের রপ্তানিনির্ভর গার্মেন্টস শিল্পে প্রভাব ফেলেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিতরণের জন্য দায়িত্বশীল সংস্থাটিও সতর্ক করেছে যে, মুদ্রা সংকটের কারণে অর্থ প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায় দেশে জ্বালানি আমদানি ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন দেশীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ভারতের পাওনা অর্থ রুপিতে পরিশোধ করার অনুমতি দিতে বলেছে সরকারকে।
গত ৯ মে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) একটি চিঠিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে লিখেছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের ঘাটতির কারণে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের চাহিদা মেটাতে না পারার কারণে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সময়মতো আমদানির জন্য অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না।