জার্মানি পৌঁছেছেন জেলেনস্কি
সাদাকালো নিউজ
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জার্মানি সফর করছেন। দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ এবং প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমিয়েরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বর্তমানে তিনি বার্লিনে অবস্থান করছেন। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর প্রথমবারের মতো জার্মানিতে পা রাখলেন জেলেনস্কি।
সম্প্রতি জার্মানি ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা কিয়েভে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করবে। ওই ঘোষণার একদিন পরেই জার্মানি সফরে গেলেন জেলেনস্কি। রোববার আরও শেষের দিকে জেলেনস্কিকে সম্মানজনক শার্লেমেন পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে উইনস্টন চার্চিল, পোপ ফ্রান্সিস এবং ব্লিন ক্লিনটনকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। জার্মানিতে পৌঁছে, ইতোমধ্যেই বার্লিনে, অস্ত্রের শক্তিশালী প্যাকেজ, বিমান প্রতিরক্ষা, পুনর্নির্মাণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো, নিরাপত্তা- এ ধরনের একটি টুইট করেন জেলেনস্কি।
শনিবার এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক সহায়তার প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। বার্লিন বলছে, তারা ২৪০ কোটি ইউরো মূল্যের অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করবে। এর মধ্যে থাকছে লিওপার্ড ট্যাঙ্ক এবং বিমান বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এদিকে নিরাপত্তার কারণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাচ্ছে না জার্মান সরকার। তবে খবর পাওয়া গেছে যে, তিনি ইতোমধ্যেই জার্মান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজের সঙ্গে পরবর্তীতে বৈঠক করবেন। জার্মান গণমাধ্যমেও বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পশ্চিমাঞ্চলীয় আচেন শহর সফর করবেন এবং শার্লেমেন পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
অপরদিকে একদিন আগেই ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তারা বাখমুতের ভূমি পুনরুদ্ধার করেছে। মাসের পর মাস পূর্বাঞ্চলীয় ওই শহরের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার কাছে ছিল। অবশেষে এর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারাটা কিয়েভের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি বলেই মনে করা হচ্ছে।
কিয়েভ বলছে, তাদের সেনাবাহিনী এক সপ্তাহে ২ কি.মি (১.২ মাইল) অগ্রসর হয়েছে। অপরদিকে রাশিয়া বলছে, তাদের সৈন্যরা একটি এলাকায় পুনরায় সংগঠিত হয়েছে। কিয়েভের হাতে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বাখমুতে একটি গতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে ইউক্রেন সেখানে পাল্টা আক্রমণ চালাবে এমন প্রমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।
দ্য ইনস্টিটিউট অব দ্য স্টাডি অব ওয়ারও বলছে যে, বাখমুতের ২ কিলোমিটার এলাকা সম্ভবত ইউক্রেনীয় বাহিনী পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যও ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস জানিয়েছেন, বিশেষ ধরনের এই স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হবে ইউক্রেনে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গিয়ে হামলা চালাতে পারে।