জামিন পেলেন মামুনুল হক!
সাদাকালো নিউজ
মাওলানা মামুনুল হক। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের পর বিভিন্নি সময়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
মামুনুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন তিনি। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘাত হয়। এর জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও ব্যাপক সংঘাত হয়। এ ঘটনায় ১৭ জন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
এসব ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে তিন ডজন মোকদ্দমা দায়ের হয়। এর মধ্যে ঢাকার পল্টনের চারটি ও হাট হাজারীর একটি মোকদ্দমায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মোকদ্দমা রয়েছে। এ কারণে তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
২০২১ সালের তেশরা এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে নারীসহ বেড়াতে গিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন মামুনুল হক। সে সময় মামুনুল দাবি করে, ওই নারী তাঁর স্ত্রী। এরপরও রিসোর্টের একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মামুনুলকে উদ্ধার করে। তবে ঘটনার এক পর্যায়ে নারীসহ মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। অবশ্য পুলিশ সে সময় দাবি করে, তারা মামুনুলকে পাহারা দেয়ার পর হেফাজতের নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
এরপর ১৮ই এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। রিসোর্টকাণ্ডের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় গিয়ে হাজির হয় মামুনুলের সেই কথিত স্ত্রী। বিয়ের প্রলোভনে অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে মোকদ্দমা দায়ের করেন।
১৯৭৩ সালের নভেম্বরে ঢাকার আজিমপুরে জন্মগ্রহণ করেন মামুনুল হক। তার পিতার নাম আজিজুল হক। তিনি একজন ইসলামি পণ্ডিত ও সহিহ বুখারির প্রথম বাংলা অনুবাদক। ১৩ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ মামুনুল হক।