জাপান থেকে ৬৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এলএনজি কিনবে সরকার
সাদাকালো নিউজ
জরুরি ভিত্তিতে স্পট মার্কেট থেকে ৬৯০ কোটি ৪২ লাখ টাকার আরও এক কার্গো বা বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর এই এলএনজি সরবরাহ করবে জাপানি প্রতিষ্ঠান জেইআরএ। ২০২৩ সালে এলএনজি আমদানির এটিই দ্বিতীয় উদ্যোগ। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির পর দীর্ঘদিন এলএনজি আমদানি বন্ধ ছিলো।
জ্বালানি বিভাগের এলএনজি কেনার প্রস্তাবটি বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা কমিটিতে অনুমোদন করা হয়েছে। মন্ত্রীসভা বিভাগের সভাকক্ষে এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
জ্বলানি বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য রাস লাফ্ফান লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (কাতারগ্যাস) এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের (বর্তমান নাম ওকিউটি) সঙ্গে দুটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির দাম স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি কার্যক্রম বন্ধ ছিলো।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। গ্যাসের ঘাটতির ফলে শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন করতে এবং গ্যাসের উর্ধ্বমূল্য বিবেচনায় প্রয়োজনে বর্ধিত মূল্যে হলেও গ্যাস সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এ অবস্থায়, স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্য বিবেচনায় নিয়ে গত ১৮ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপন অনুয়ায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ঘনমিটার, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। সে লক্ষ্যে দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য স্পট মার্কেট থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সর্বমোট ১২ কার্গো এলএনজি সংগ্রহের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রধান মন্ত্রী সদয় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।