জাপানের ভক্তদের হতাশ করেননি মেসি
বুধবার জাপানে প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে স্থানীয় ভক্তদের আর হতাশ করেননি লিওনেল মেসি। ইনজুরির কারনে হংকংয়ে খেলতে পারেননি মেসি। যে কারনে ইন্টার মিয়ামির মালিক ডেভিড বেকহ্যামসহ কোচ জেরার্ডো মার্টিনো দারুন সমালাচোনার মুখে পড়েন। এমনকি প্রীতি ম্যাচ খেলতে এসে তাদের দুয়ো ধ্বনিও শুনতে হয়েছে। গতকাল অবশ্য ৩০ মিনিটের জন্য মাঠে নেমে ভক্তদের আশা পূরণ করেছেন বিশ^কাপ জয়ী এই তারকা।
জাপানীজ শীর্ষ লিগের ক্লাব ভিসেল কোবের বিপক্ষে টোকিওর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ফলাফল গোলশুণ্য ড্র ছিল। পরে পেনাল্টিতে মিয়ামি ৪-৩ গোলে পরাজিত হয়েছে। মেসি ৬০ মিনিটে বদলী বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেছিলেন।
যদিও তার খেলা নিয়ে প্রায় ২৭ হাজার সমর্থক শঙ্কায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মাঠে নামলে সকলে তার নাম ধরে চিৎকার শুরু করে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আট বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী এই সুপারস্টার ওয়ার্ম-আপ শুরু করলে সকলের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। ডেভিড রুইজের বিপক্ষে বিশ^কাপ জয়ী এই অধিনায়ক মাঠে নামলে পুরো স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে। যখনই মেসি বল স্পর্শ করেছে সমর্থকরা তাকে উৎসাহ যুগিয়েছেন। ৭৯ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় ড্রিবল করে কোবের বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি। কিন্তু পোস্টের খুব কাছে থেকে তার শট সহজেই রুখে দেন গোলরক্ষক শাওতা আরাই।
ম্যাচ শেষে মিয়ামি কোচ মার্টিনো বলেছেন মেসিকে খেলানোর সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার দুপুরেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। মার্টিনো বলেন, ‘গতকাল দুপুরে অনুশীলনের সময় সে আমাদের ভাল লাগার অনুভূতির কথা জানিয়েছে। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অন্তত ৩০ মিনিট তাকে আমরা খেলাবো।’
প্রচন্ড শীতের মধ্যে রাতের এই ম্যাচ দেখতে আসা সাহসী সমর্থকদের জন্য মেসির ঐ ৩০ মিনিটই যথেষ্ঠ ছিল। কোবও পুরো ম্যাচে ছেড়ে কথা বলেনি। বিশেষ করে ম্যাচের শুরুতে ১৫ মিনিটে জাপানের সাবেক স্ট্রাইকার ইউকা ওসাকোর শট পোস্টে লেগে ফেরত না আসলে তখনই এগিয়ে যেতে পারতো কোব। মিনিট খানেক পরেই ওসাকোর শট আবারো পোস্টে লাগে। পেনাল্টি শ্যুট আউটে মসি কোন শট নেননি।
হংকংয়ে না খেলায় যে ধরনের সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল ইন্টার মিয়ামি তা নিয়ে তাদের কোন ধারনা ছিলনা। মঙ্গলবার টোকিওতে সংবাদ সম্মেলনে মেসি বলেছেন তার পায়ের ইনজুরির উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু টোকিওর ম্যাচে খেলবেন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন।
জাপানীজ ক্লাবের বিপক্ষে মেজর লিগ সকারের ক্লাবের প্রীতি ম্যাচটির টিকেটের মূল্য ১০ হাজার ইয়েন থেকে দুই লাখ ইয়েন পর্যন্ত ছিল। একটি প্রীতি ম্যাচে টিকেটের মূল্যের দিক থেকে জাপানে এটাই সর্বোচ্চ।
রোববার হংকংয়ের ম্যাচেও প্রায় একই ধরনের অতি মূল্যের টিকেট কেটে প্রায় ৪০ হাজার সর্মথক মাঠে এসেছিল শুধুমাত্র মেসির খেলা মাঠে বসে উপভোগ করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের হতাশ হতে হয়েছে। হংকং একাদশের বিপক্ষে মেসির দল জিতেছে ৪-১ গোলে।
মেসিকে না খেলানোর জন্য আয়োজকদের কাছে জবাবদিহীতার দাবী জানিয়েছেন হংকং সরকার। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি এমএলএস মৌসুম শুরুর আগে আগামী সপ্তাহে আর্জেন্টিনার নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আর মাত্র একটি প্রীতি ম্যাচ রয়েছে মিয়ামির। (বাসস/এএফপি)