জটিল সমীকরণের বাজেট, চাপে পড়বেন করদাতারা
করোনাকালেও প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে বিশ্ব অর্থনীতির নতুন উদাহরণ হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, বছর দুয়েক পর, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেনো আগুন দেয় সেই সোনার সংসারে।
বর্তমান বাস্তবতা হলো, এক দশকের রেকর্ড সাড়ে নয় শতাংশের মূল্যস্ফীতিতে দম আটকে যাওয়ার মতো অবস্থা সাধারণ মানুষের। ২০১৯-এ প্রায় আট ছুঁয়ে ফেলা প্রবৃদ্ধিও এই সময়ে নেমেছে সবচেয়ে নিচে। কেবল তাই নয়, বছর দুয়েক আগে রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ ক্ষয় হতে হতে নেমেছে ৩০-এর ঘরে। তারওপর, কর আদায়, সংস্কার আর নীতি-কৌশলের ওপর অব্যাহত চাপ আইএমএফের। প্রশ্ন হলো, এতোটা জটিল অবস্থায় থেকে, কিভাবে সম্ভব ভালো বাজেট দেয়া?
৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে এবার সোয়া চার লাখের বেশি আয় করতে হবে রাজস্ব বোর্ডকে। অথচ, অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে আদায়, লক্ষ্যমাত্রার মাত্র দুই তৃতীয়াংশ। অন্যদিকে, নতুন বাজেটে রেকর্ড ২৬ শতাংশ বাড়িয়ে আয়কর থেকে আদায়ের লক্ষ্য ১ লাখ ৫৪ হাজার কোটি। ভ্যাট থেকেও আয় বাড়াতে হবে ১৭ শতাংশ। তার মানে, আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে, করের বাড়তি চাপে ফেলা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
শত চেষ্টা আর নিয়ম-কানুনে বদল আনার পরও চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন সবচেয়ে কম। ফলে, আরেকবার ধাক্কা খাওয়ার শঙ্কা অর্থনীতিতে।