ছাত্রদলে পদ হারিয়ে কেন বিএনপিতে শ্রাবণ?
সাদাকালো নিউজ
কদিন আগে অসুস্থতার কারণে ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিলো কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে। সে সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শ্রাবণের অসুস্থার কারণে সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এরপর শ্রাবণকে বাদ দেয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
তবে পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রায় তিন মাস পর বড় সুখবর পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ। ১১ই অক্টোবর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শ্রাবণকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদকেও পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দল আশা প্রকাশ করে যে, উল্লিখিত নেতারা দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। দলের নির্দেশোনা মোতাবেক কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে শ্রাবণকে সরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছিলেন, ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে উত্তরা এলাকায় থাকার কথা ছিলো শ্রাবণের। কিন্তু তিনি সেখানে যাননি। বরং ওইদিন বিকেলে খিলক্ষেত এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন শ্রাবণ। যাতে ক্ষুব্ধ হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ কারণেই পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের একাধিক নেতা-কর্মী তখন জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার কথা বলে শ্রাবণকে সরিয়ে দেয়া হলেও, তিনি অসুস্থ ছিলেন না। বিএনপির একদফার কর্মসূচিতে কি করা হবে তা ঠিক করতে ৮ আগস্ট দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে এক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ওই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।