চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে টাইগারদের অবিস্মরণীয় জয়
সাদাকালো নিউজ
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। তাও ইংলিশরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর। শিরোপা জয়ের পর প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে নেমে ধরাশয়ী হয়েছে ইংল্যান্ড। তাও র্যাঙ্কিংয়ের ৯-য়ে থাকা বাংলাদেশের কাছে।
বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলেও প্রতি মুহূর্তেই বদলেছে ম্যাচের রং। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পথ হারায়নি। নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৬ রানে ভর করে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে। যেকোনো ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।
রবিবার (১২ মার্চ) মিরপুরে সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের ওই বোলিং তেজ ছিল মিরপুরেও। শামীম পাটোয়ারীর বদলি হিসেবে সুযোগ পাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ জানান দেন তিনিও জ্বলে উঠতে পারেন। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। মিরাজ ১২ রানে নেন ৪ উইকেট।
ইংলিশদের হয়ে ২৮ রান করেন বেন ডাকেট। ওপেনার ফিল সল্টের ব্যাটে আসে ২৫ রান। তারা ছাড়া বাকিরা কেউ করতে পারেনি বড় সংগ্রহ।
১১৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। দুইজনের ব্যাটেই আসে ৯ রান করে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩১ বলে ২৯ রান করে তোলেন তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। হৃদয় ১৭ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
বল হাতে দারুণ করা মেহেদি মিরাজ বল হাতেও ছিলেন দারুণ। তার ব্যাটে আসে ১৬ বলে ২০ রান। তার ইনিংসে বাংলাদেশের জয় আরও সহজ হয়ে ওঠে। তবে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়তে পারেননি। চতুর্থ উইকেটে শান্তর সঙ্গে ৩২ বলে তোলেন ৪১ রান।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জিতলেও রবিবার তার ব্যাটে কিছুই আসেনি। ৩ বলে ০ রান করে ফেরেন তিনি। ম্যাচ জেতানো শান্তর ব্যাটে আসে ৪৬ রান। মূলত তার ব্যাটিংয়েই ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। শুধু ম্যাচ জয় নয় জিতেছে সিরিজও।