চৌকি পেতে ব্যবসা শুরু বঙ্গবাজারে
সাদাকালো নিউজ
কেউ বসিয়েছেন চৌকি। আবার কেউবা টাঙিয়েছেন শামিয়ানা। রোদ থেকে বাঁচতে কারো কারো মাথায় ছাতা। চলছে দৌড়ঝাঁপ, পসরা সাজানোর ব্যস্ততা। বুধবার দুপুরের এমন চিত্র ঢাকার বঙ্গবাজারের।
ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হওয়ার আট দিনের মাথায় ব্যবসায়ীরা চৌকি বসিয়ে ব্যবসা শুরুর চেষ্টা করছেন। সামনে ঈদ তার আগে বেচাকেনা করে পোড়াক্ষত সারানোর চেষ্টা তাদের।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বঙ্গবাজারে আসবেন। অস্থায়ী চৌকি বসিয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।
বঙ্গবাজারের দোকান মালিক সমিতির নেতাদের ভাষ্য, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে ১ দশমিক ৭৯ একর জমি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের বসাতে সেখানে বালু ফেলে ইট বিছানো হয়েছে। পুরো এলাকায় বালু ফেলা ও ইট বিছানোর কাজ করে চলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
তবে চৌকি বসানোর মতো জায়গা সব ব্যবসায়ীরা পাবেন না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের আদর্শ মার্কেট ইউনিটের সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘জায়গা সংকটের কারণে সর্বসাকল্যে ১ হাজার থেকে ১২০০ চৌকি মার্কেটের জায়গায় বসানো যাবে বলে মনে হচ্ছে।’
‘সেইক্ষেত্রে ১০০ চৌকি দিয়ে ২০০ জনকে পুনর্বাসিত করা যায় কিনা আমরা দেখব। আর যারা বসার জায়গা পাবে না, তাদের বিষয়ে পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বঙ্গবাজার আদর্শ মার্কেট ইউনিটের সভাপতি জানান, তাদের ইউনিটে মোট দোকান ছিল ৬৭১টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০০ চৌকি বসানো যাবে।