চিকিৎসক রুবেলের হতাশার বলি দুই সন্তানসহ স্ত্রী
সাদাকালো নিউজ
ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ২০ বছর আগে। সুখের সংসারে ছিল দুই মেয়ে। সব নিয়ে ভালোই চলছিল। কিন্তু বাধ সাধে ঋণ। শুরু হয় হতাশা। নিজেই নিজেকে শেষ করে দিলে স্ত্রী সন্তানদের বইতে হবে ঋণের বোঝা। এজন্য তাদেরকে নিয়েই পৃথিবী থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন এক বাবা।
তবে স্ত্রীসহ দুই মেয়েকে শেষ করে দিলেও নিজেকে শেষ করতে পারেননি তিনি। তাঁর আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। ধরা খাওয়ার পর এমন কথাই বলেছেন আসাদুজ্জামান রুবেল।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার আঙ্গুরপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আসাদুজ্জামান রুবেল। উপজেলার বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন তিনি।
রুবেলের স্ত্রীর নাম লাভলী আক্তার। ছোট মেয়ে কথা পড়তো পঞ্চম শ্রেণিতে। বড় মেয়ে ছোঁয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী। রোববার ভোররাতে হঠাৎ বাবার এমন কাণ্ড। দুই সন্তানের সাথে স্ত্রীকেও শেষ করে দেন আসাদুজ্জামান রুবেল।
স্বজনরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সুখে শান্তিতে সংসার করে আসছিলেন রুবেল-লাভলী। ১৫ বছর ধরে আঙ্গুরপাড়া গ্রামে শশুরবাড়িতেই থাকতেন রুবেল। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
পরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাটুরিয়া এলাকায় বাসের নিচে পড়ে নিজেকে শেষ করার চেষ্টাও করে রুবেল। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয় তাঁর। ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পরে পুলিশের হাতে রুবেলকে তুলে দেয়া হয়।