চলমান নৌ পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সাদাকালো নিউজ
নৌ পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দিয়েছেন নৌ পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠনের নেতারা।
নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার এবং নৌ পরিবহন খাতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সরকার, নৌযান মালিক ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে এ বৈঠক হয়।
নৌযান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত শনিবার দিবাগত রাত থেকে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করেন নৌযান শ্রমিকরা।
নৌযান শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, প্রতি পাঁচ বছর পর নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণার বিধান থাকলেও সর্বশেষ মজুরি কাঠামোর মেয়াদ গত বছরের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। কিন্তু, নৌযান মালিকদের সংগঠনগুলো বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। এছাড়া, গত ১৬ মাসে নৌ মন্ত্রণালয় ও শ্রম অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বহুবার দেন-দরবার করেও ফল পাওয়া যায়নি।
গত সাত বছরে (৬ বছর ৪ মাস) কয়েক দফা দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, জানিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেছেন, মজুরি-ভাতা না বাড়ায় নৌযান শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। এখন তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই, সাধারণ শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছেন।
নৌযান শ্রমিকদের দাবিগুলোহলো—নৌযান শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দিতে হবে। বাল্কহেডের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে হবে। বাংলাদেশের বন্দরগুলো থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রোতাশ্রয় নির্মাণ ও চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ১০ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করতে হবে। বাংলাদেশের বন্দরগুলো থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করতে হবে।