ঘরোয়া যে নিয়মগুলো মানলেই ভালো থাকবে কিডনি
সাদাকালো নিউজ
মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। এই অঙ্গটি মানব শরীরের রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের প্রতিদিনের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ফলে।
তবে এর সমাধানও আছে। বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলো মেনে চললেই আপনি আপনার কিডনিকে সুস্থ রাখতে পারবেন। তার আগে জেনে নিন কীভাবে বুঝবেন যে আপনার কিডনিতে সমস্যা রয়েছে।
প্রাথমিক লক্ষণ যা নজরে আসে তা হলো পেট এবং পা ফুলে যাওয়া। শরীরে যে টিস্যুগুলো থাকে তাতে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণ জমে গেলে শরীর ফুলে যায়। কিডনি ঠিক থাকলে অক্সিজেনের মাত্রা ও পুষ্টির মাত্রা ঠিক থাকে। তাই কিডনি ভালো রাখা ও যত্নে রাখা খুবই দরকার।
কিডনির মূল কাজ হলো রক্তের মধ্যে থাকা বর্জ্য পদার্থ পরিশ্রুত করে বের করে দেয়া। কিডনি খারাপ হলে এই কাজটি ব্যাহত হয়।
চিকিৎসকের কথায়, এই দূষিত পদার্থ খাবার ও পানীয়র মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই খাবারদাবারের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকা উচিত। খাবারের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ শরীরে কম প্রবেশ করলে কিডনির উপরেও বেশি চাপ পড়ে না। যেমন-
পর্যাপ্ত পানি পান খান- কিডনিকে ভালো রাখার একটি সহজ উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। পানি খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পানি আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়, যা কিডনির জন্য উপকারী।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান- কিডনিকে ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই দরকার। প্রতিদিনকার তেল মশলাযুক্ত খাবার কিডনিসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গের জন্যও ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত লবণ, চিনি, চর্বিযুক্ত খাবার কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে হাই পটাশিয়াম যুক্ত খাবার যেমন কলা, কমলালেবু, পালংশাক কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন- নিয়মিত শরীরচর্চা করা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এটি কিডনিকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত শরীরচর্চা রক্তচাপ কমায়। তাই চিকিৎসকরা নিয়মিত ২০-৩০ মিনিট শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ধূমপান ত্যাগ করুন- ধূমপান ফুসফুসের যেমন ক্ষতি করে তেমনি আপনার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনিকেও খারাপ করে। আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তাহলে কিডনির রোগসহ ফুসফুসের নানা রোগের ঝুঁকি কমাতে তা আজই ত্যাগ করুন।
ব্যথার ওষুধ কম খান- আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসপিরিনের মতো ব্যথার ওষুধগুলো বেশি মাত্রায় বা দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্রহণ করলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এই ওষুধগুলো এড়ানোর চেষ্টা করুন বা ডোজ কমান।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমান- উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ শর্করার পরিমাণ কিডনির জন্য মোটেই ভালো না। তাই নিয়মিত আপনার ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করান এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ খান। এসব ঘরোয়া উপায় মানলেই ভালো থাকবে কিডনি।