গ্রেপ্তারকৃত সিয়াম সংঘর্ষের মধ্য নাহিদকে রড দিয়ে পেটান
সাদাকালো নিউজ
রাজধানীর নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজ ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সময় পড়ে যান কুরিয়ারকর্মী নাহিদ। ইটের আঘাতে আহত নাহিদকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান সিয়াম।
সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানায়, নাহিদকে প্রথমে রড দিয়ে পেটায় সিয়াম। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে পড়ে থাকা নাহিদকে কোপ দেন ইমন।
গতকাল রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৩ এর অভিযানে শরীয়তপুর থেকে সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। যিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ১৯ এপ্রিল দুপুরে আহত হন নাহিদ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইটের আঘাতে আহত নাহিদকে রড দিয়ে বেধড়ক আঘাত করেন সিয়াম। প্রহারের পর যখন সিয়াম চলে আসছিল, তখন নাহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেণ ইমন।
সিয়ামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইন্ধনে হামলায় অংশ নেন সিয়াম। ঢাকা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি। তবে হলে তিনি থাকতেন না, অনাবাসিক ছিলেন।
র্যাব জানায়, গত ১৮ এপ্রিল রাত থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলমান এ সংঘর্ষে ২ জন নিহত এবং গণমাধ্যমকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্সসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুইটি হত্যা মামলাসহ মোট পাচঁটি মামলা দায়ের করা হয়।