গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৪৭ ফিলিস্তিনি
ফিলিস্তিনের গাজায় থামছেই না ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলা। ইসরাইলি হামলায় আরও ৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮২ জন। হামলার পর ধ্বংসস্তুপের নিচেও আটকা পড়েছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান হামলায় আরও ৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৭১২ জনে পৌঁছেছে বলে ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৩ হাজার ২৫৮ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৪৭ জন নিহত এবং ১৮২ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে না পারায় অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।