খন্দকার বাবরের বিপুল সম্পত্তি! অথচ একসময় করতেন মুরগির ব্যবসা!
সাদাকালো নিউজ
সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও বর্তমানে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর। সূত্র বলছে, এই পরিচয়েই বেপরোয়া হয়ে ওঠেছিলেন বাবর। এক সময়ের বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। দেশ-বিদেশে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ। গেল সোমবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে ধরেছে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের আমলি আদালতের মাধ্যমে বাবরকে হাজতে পাঠানো হয়।
বৈধ উপায়ের বাইরে গিয়ে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মোকদ্দমায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বাবর। বাবরকে ধরতে আদালতের পরোয়ানা জারি ছিল। পুলিশ বলছে, ধরা পড়ার আগে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন বাবর। বাবরের ঘটনা তদন্তে জড়িত কর্মকর্তারা জানান, ফরিদপুরে প্রায় ১৫ কোটি টাকা খরচ করে একটি বাড়ি বানিয়েছেন বাবর। এছাড়া কানাডায় তার পরিবারের এক সদস্যের বাড়িও রয়েছে। অথচ একসময় বাবরের আয়ের একমাত্র উৎস ছিল পোলট্রি মুরগির ব্যবসা। কিন্তু বড় ভাই মন্ত্রী হওয়ায় ধীরে ধীরে সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করতেন বাবর। এরপর তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা জানান, খন্দকার বাবর বহুদিন ধরে ফরিদপুরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে টেন্ডার বাণিজ্য ছাড়াও চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে দেশ-বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এদিকে, ছোট ভাইয়ের এসব অপকাণ্ডে বিব্রত ফরিদপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বাবরকে পুলিশ ধরার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ভাই তো ৭-৮ বছর বয়সী বালক নয়। সে স্বাধীন মানুষ; স্বাধীনভাবে চলাফেরা করেছে। সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। সে তার মতো করে ব্যবসা করত, রাজনীতি করত। এ নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করার কী আছে?’