ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিতে হবে এরদোয়ানকে
সাদাকালো নিউজ
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের ভূমিকম্প, কম্পন তৈরি করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েফ এরদোয়ানের রাজনৈতিক জীবনে। দুই দশকের নেতৃত্বে এত বড় সংকটের মুখোমুখি হননি তিনি। অভিযোগ উঠছে, ভূমিকম্প মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে। প্রশ্ন আসছে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতার গাফিলতি নিয়েও। এদিকে, ঘনিয়ে আসছে দেশটির জাতীয় নির্বাচন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, সেই নির্বাচনে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিতে হবে, নব্য সুলতান আখ্যা পাওয়া এরদোয়ানকে।
গত সোমবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক সিরিয়া সীমান্তে ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পের বিভীষিকা যেন থামছেই না। যত দিন গড়াচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। খাবার, গরম কাপড়, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাবে কষ্ট বাড়ছে বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দাদের। বৈরি আবহাওয়াও ভোগাচ্ছে ভূমিকম্প কবলিত তুর্কি ও সিরিয়ানদের।
শুরু থেকেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় চেষ্টা করে আসছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েফ এরদোয়ান। এরইমধ্যে দুর্গত এলাকাগুলোতে সফর করেছেন তিনি। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে, ভূমিকম্প মোকাবেলায় তুরস্ক সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। টানা দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকার পরও ভূমিকম্প মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অবকাঠামো প্রস্তুত করেননি রিসেফ তাইয়েফ এরদোয়ান সরকার।
ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় গাফিলতির কথা বলছেন, দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। শুরু থেকে দ্রুত গতিতে উদ্ধার অভিযান শুরু করা সম্ভব হলে, আরও বহু মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো বলে মনে করছেন, এরদোয়ানের সমালোচকরা।
এরইমধ্যে ঘনিয়ে আসছে, দেশটির জাতীয় নির্বাচন। তিন মাস পর অনুষ্ঠিতব্য সেই নির্বাচনে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন এরদোয়ান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ২০০৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর এবারই সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে এরদোয়ানকে।
১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের আলোচনা তুলছেন অনেকে। ভূমিকম্প মোকাবেলায় ব্যর্থতার কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ট ইসোভিট। সেসময় সরকারি পদক্ষেপের সমালোচনা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন এরদোয়ান। এর জেরেই ২০০২ এর নির্বাচনে বিজয়ী হন এরদোয়ানের দল একে পার্টি।
এদিকে, ভূমিকম্পের আগে থেকেই নানা সংকটে ভুগছে, এরদোয়ানের তুরস্ক। দেশটির নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির জন্য এরদোয়ানের অর্থনৈতিক নীতিকে দায়ী করছেন বিরোধী নেতারা।